সাপ্তাহিক সম্পাদকীয় : জ্বালানি জ্বলনে দগ্ধ কেন্দ্রীয় সরকার
HnExpress সম্পাদকের কলমে : দেশজুড়ে উত্তরোত্তর বেড়েই চলেছে পেট্রোল-ডিজেলের দাম। গত একমাসে তা ক্রমেই মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। বর্তমানে সেই মাত্রা ১০০ ছুঁই ছুঁই! যদি এখনই এবিষয়ে লাগাম না টানা হয়, তবে আগামী দিনে কেন্দ্রীয় সরকার মহা-বিপাকে পড়বে সন্দেহ নেই। এবিষয়কে হাতিয়ার করে বিরোধীরা লোক দেখানো ভারত বন্ধ ডাকা-সহ কিছু কর্মসূচি নিলেও তাতে কোনও সুফল মেলেনি।
আমজনতার মনে তার কোনও প্রতিফলন পড়েনি, অন্তত এরাজ্যে। এদিকে আজই ভারত থেকে জ্বালানি তেল বাংলাদেশে পাইপলাইনের মাধ্যমে সরবরাহ করার পদ্ধতি চালু হল। এই পদ্ধতির সূচনা হয় দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর হাতে। এরই পাশাপাশি সাধুজনেরাও বলতে শুরু করেছেন জ্বালানি তেলের দাম নিয়ন্ত্রিত না হলে আগামী লোকসভা ভোটে বড়সড় ফাটল দেখা দেবে। এই দামবৃদ্ধির মধ্যে লিটার প্রতি ২ টাকা, ১ টাকা ছাড় দিয়ে কোনও কোনও রাজ্য সরকার বাজিমাত করতে চেয়েছিলেন।
কিন্তু জনমানস তার কোনও প্রভাব পড়েনি বলেই মনে হয়। কিন্তু এবিষয়ক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সম্প্রতি বড়গলা করে বলেছেন, কিছুদিনের মধ্যেই পেট্রোল-ডিজেল মিলবে ৫০ টাকায়। কিন্তু কীভাবে তা তিনি ব্যক্ত করেননি। তবে কি এই জ্বালানির দাম বাড়ার পিছনে কোনও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে। এই দামবৃদ্ধি কি তবে ম্যানমেড ক্রাইসিস! প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে ইতিমধ্যে। সব পণ্যসামগ্রীতে জিএসটি লাগু হলেও পেট্রোপণ্যে কেন তা চালু করা হচ্ছে না? নাকি কোনও দেশের সঙ্গে গোপন চুক্তি হয়েছে কমদামে জ্বালানি সরবরাহের?
কেননা, বছরখানেক আগে এমনই এক সম্ভাবনার কথা উঠেছিল। যদি তা সত্যি হয় তবে অচিরেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ভবিষৎবাণী মিলে যাবে। স্বস্তি পাবেন আমজনতা। আর যদি জ্বালানি তেলের দাম লাগাম ছাড়া হতেই থাকে চরম পরিস্থিতিতে পড়তে হবে বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকারকে।