শেষ হল ৪৩-তম কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলা
কলকাতা বইমেলা ১৪ পর্ব
HnExpress অশোক সেনগুপ্ত, ১১ ফেব্রুয়ারি, কলকাতা ঃ “শেষ নাহি যে, শেষ কথা কে বলবে?” ১৪ সেপ্টেম্বর, ১৯১৪ বীরভূমের সুরুলে মিশ্র খাম্বাজ রাগের গানটি গেয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ। স্বরলিপিকার ছিলেন দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর। এতকাল বাদে বইমেলার শেষ লগ্নেও মনের কোনে ধাক্কা মারল দীনু ঠাকুরের ওই গান।
এবারের মত না হয় শেষ হল। কিন্তু শেষ কোথায়? শুরু হল আবার এক প্রতীক্ষার। আবার এক প্রস্তুতির। আসছে বছর আবার হবে। এই বইমেলার স্মৃতি রোমন্থন আর আগামীর দিন গোনাটা হয় উঠবে আমাদের অন্যতম প্রধান কাজ। কারণ বইমেলা যে আমাদের প্রাণের আরাম, আত্মার আনন্দ, মনের শান্তি!
সোমবার দুপুরে বইমেলার ফটক খোলার সঙ্গে সঙ্গেই বাড়তে থাকে ভিড়। নবদ্বীপের দুই বন্ধু প্রদীপ আর অসিত ব্যাগবোঝাই বই কিনে বেলা পৌনে তিনটে নাগাদ লাগোয়া সরকারি টার্মিনাসে এসে উঠল শিয়ালদহগামী শাটলে। গোটা রাস্তা সে কী উৎকন্ঠা। ৩টে ৪০-এর ট্রেনটা ধরতে পারলে সন্ধ্যার পর ঘরে ফিরতে পারবে। বেড়িয়েছে সেই সকালে। না হলে ব্রেক জার্নি করে যেতে হবে। ঠিক ৩টে ৪০ এই বাস পৌঁছোল শিয়ালদহে। নেমেই ছুট। বলে গেল, “হয়ত পেয়ে যাব। ট্রেন তো ছাড়তে একটু লেট করে!“
বিকেলের পর থেকে বইমেলা ছোটখাট জনসমুদ্রের রূপ নেয়। মাইকে একের পর এক বাজছে মান্না দে-র মন উদাস করা সেই সব গান। সন্ধ্যে যত গভীর হচ্ছে, মেলার লোকেদের মন যেন বিষাদে ভরে যাচ্ছে। গিল্ডকর্তাদের হিসাবে এবারের মেলায় এসেছিলেন ১৮ লক্ষের বেশি দর্শক। ১৭ কোটি টাকারও বেশি বই বিক্রি হয়েছে।
এই ক’দিন ছিল হরেক রকম আলোচনাচক্র, অনুষ্ঠান। চার জন লাকি উইনার পেয়েছেন এক আলমারি বই ও শংসাপত্র। নাকতলা, গড়িয়া ডায়মন্ডহারবারের তিন বিজয়ী পবিত্র বন্দ্যোপাধ্যায়, তরিৎ কুমার রায় ও বাণী দাস আগেই নিয়ে গিয়েছেন তাঁদের পুরস্কার ও সার্টিফিকেট। চতুর্থ জনের নাম ঘোষণা হল গতকাল।
গিল্ডের সমাপ্তি অনুষ্ঠান শুরু হল সাড়ে চারটের পর। গতকাল পুরস্কার বিতরণী, সাংবাদিক সম্মেলনের পাশাপাশি, দেড়শ পথশিশুকে টিফিন ও বই বিতরণ, কর্তাদের ‘আবার দেখা হবে আগামীতে’ এই আশ্বাসবানী আর ঘন্টাধ্বনির মধ্যে দিয়ে শেষ হল ৪৩-তম কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলা।
থুড়ি, শেষ নয়। শুরু হল আবার এক প্রতীক্ষার— “শেষ নাহি যে, শেষ কথা কে বলবে?”
Kindly create a ‘like’ button here please.
Nice article
Thnx for ur valuable suggestion and as soon as possible we will start a like button.