যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে বনধের বাজারে সকাল থেকেই নিজ দপ্তরে পরিবহন ও পরিবেশ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী
HnExpress নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা ঃ সিপিআইএমের ডাকা সর্বনাশা, কর্মনাশা বনধেও এ রাজ্যের যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে সকাল থেকেই নিজ দপ্তরে উপস্থিত মাননীয় পরিবহণ ও পরিবেশ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী।
আজ থেকে শুরু হল সারা দেশ জুড়ে নানা ধরনের দাবির ভিত্তিতে এবং বিশেষ করে পেনশনভোগীদের পেনশন বৃদ্ধি ও তৎসহ আরও অন্যান্য দাবী সহ প্রায় ৪৮ ঘন্টা ব্যাপি ভারত বন্ধ। এই ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে বামপন্থী সহ অন্যান্য বেশ কয়েকটি ট্রেড ইউনিয়ন ও ফেডারেশন এবং আরও অনেকেই।
তবে এই কর্মনাশা বনধের দিনেও রাজ্যের যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে এবং বনধকে অসফল করতে রাজ্য পরিবহন দপ্তর সদা তৎপর। আর সেই কাজের উপর সজাগ নজরদারি রাখতেই মঙ্গলবার সাত সকালেই কলকাতায় নিজের দফতরে পৌঁছে গেলেন রাজ্যের পরিবহন ও পরিবেশ দপ্তরের মন্ত্রী।
ধর্মঘটের প্রথমদিন সকালেই শহরের রাজপথে বাম নেতারা। সকালে রাজাবাজারে ধর্মঘটের সমর্থনে রাস্তায় নেমেছেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র। মুখ্যমন্ত্রীর এলাকা হাজড়াতে ধর্মঘটের সমর্থনে রাস্তায় হাঁটেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু। যাদবপুরে নিজের বিধানসভায় হাজিড় হন সুজন চক্রবর্তী। এছাড়াও কলকাতার প্রায় সব প্রান্তেই বাম কর্মী সমর্থকেরা রাস্তায় নামেন। কেন্দ্রীয় সরকারের একাধিক নীতির বিরোধীতা করে মঙ্গল ও বুধবার দুদিন দেশব্যাপী ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে বাম দলগুলি।
অন্যদিকে সুত্রের খবর, উত্তর ২৪ পরগণা জেলার বারাসাতের চাঁপাডালি মোড়ে আজ সকালে সরকারি বাসে বিক্ষোভকারিরা ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ। সকাল থেকে এলাকায় রেল অবরোধের পাশাপাশি চাঁপাডালি মোড়ে পথ অবরোধ করেন বনধ সমর্থকেরা। এই নিয়ে পুলিসের সাথে প্রথমে শুরু হয় তুমুল বচসা এবং তার পরেই সেটা পৌঁছে যায় ধস্তাধস্তিতে। সাথে বাস ভাঙচুরকে ঘিরে এখন মারাত্মক উত্তপ্ত গোটা এলাকা। সকাল থেকে সারাদিন ব্যাপি মধ্যমগ্রাম অঞ্চলে এলাকার বিরোধী দলনেতা এবং ৯ নং ওয়ার্ডের পুর পিতা সনৎ বিশ্বাসের পরিচালনায় সুবিশাল মিছিল সহ প্রতিবাদের ঝড়। তবে অপর দিকে এখনও অব্দি বারাকপুর শিল্পাঞ্চলে বনধের কোনও প্রভাব পড়েনি বলে সুত্রের খবর।
মূলতঃ ৪৮ ঘন্টার ডাকা এই ধর্মঘটে সামিল হয়েছেন আইএনটিইউসি ও সিটু সহ ১৮টি বাম শ্রমিক সংগঠন। এদিকে, বনধকে ঘিরে সকাল থেকেই উত্তপ্ত গোটা রাজ্য। বস্তুত আজ সকালেই গড়িয়ার মোড়ে সরকারি বাসে ভাঙচুর চালায় বনধ সমর্থকেরা। যাদবপুরের এইট বি বাসস্ট্যান্ডেও সকাল ৬টা নাগাদ মিছিল বের করেন বাম সমর্থকরা। মিছিলে বাধা দিলে পুলিসের সঙ্গে তাদের বচসা শুরু হয়, এবং শেষে তা ধস্তাধ্বস্তিতে পৌঁছে যায়। প্রসঙ্গত, যাদবপুরে প্রধানমন্ত্রীর কুশপুত্তলিকাও দাহ করে ক্ষোভে ফেটে পরেন বনধ সমর্থকেরা। এছাড়াও আসানসোলের জামুরিয়াতেও কলকাতাগামী বাসে এলোপাথারি ইট ছুঁড়ে ভাঙচুর চালায় বনধ সমর্থকেরা। রাজ্যের সর্বত্রই মোটামুটি কমবেশি বনধ সমর্থনের হাওয়া বইছে এখনো।
Excellent news .