June 22, 2025

মুখ্যমন্ত্রীর দারস্থ ফটোগ্ৰাফার অ্যাসোসিয়েশন

0
Advertisements

HnExpress ৩রা মে, অভিজিৎ হাজরা, হাওড়া ঃ করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে চলছে দেশ তথা বিশ্বব্যাপী টানা লকডাউন। আমাদের রাজ্যেও চলছে লকডাউন। আর লকডাউনের প্রভাবে দোকান-বাজার, কাজকর্ম সবই প্রায় বন্ধ। মানুষের হাতে যে সঞ্চয় ছিল তাও নিঃশেষ হতে বসেছে। দিন আনা দিন খাওয়া মানুষরা অর্থসংকটে পড়েছেন। কাজ না থাকায় চিন্তায় পড়েছেন আমতা, বাগনান, উলুবেড়িয়া,জয়পুর, ঝিখিড়া, উদয়নারায়নপুর সহ সমগ্ৰ হাওড়া জেলার ফটোগ্ৰাফাররা। ফলতঃ মুখ্যমন্ত্রীর দারস্থ হলেন ফটোগ্ৰাফার অ্যাসোসিয়েশন।

প্রসঙ্গত, সারা বছরের বেশির ভাগ সময়ই ফটোগ্ৰাফারদের কাজ হয় বিয়ে, অন্নপ্রাসন সহ বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে। কিন্তু দীর্ঘ দেড় মাসের লক লডাউন চলায় তাও আবার বিবাহ মরসুমের সময়, সমস্ত অনুষ্ঠান বন্ধ। বন্ধ সেই সব অনুষ্ঠানে ফটো তোলার কাজও। আমতা গাজীপুরের ফোটোগ্রাফ সুমিত ভট্টাচার্য, তাপস রীত, সজল গায়েন, মহাদেব মাজি, ন’পাড়ার অভিজিৎ রীত, আমতার কুনালরা বলেন, এখন অনেক মোবাইলের দোকানেই ফটো তোলা হয়, সেই কারণে আগের মতো আমাদের স্টুডি এর দোকান গুলোতে মানুষ আর ফটো তুলতে আসে না।

 

 

তাই আমাদের এখন প্রায় সারাবছরই বিবাহ, অন্নপ্রাশন অন্যান্য নানান সামাজিক অনুষ্ঠানে ভিডিওগ্ৰাফীর উপরই জীবিকা নির্বাহ করতে হয়। তারা আরও বলেন, মাঘ, ফাল্গুন, বৈশাখ, জ্যৈষ্ঠ মাসের অপেক্ষায় বসে থাকি আমরা, কারণ এই সময়গুলোতে বেশিরভাগ বিয়ে বাড়ীতে ভিডিওগ্ৰাফীর কাজ হয়ে থাকে। আর এ বছরও (২০২০) অনেকগুলো বিয়ে, পৈতে, অন্নপ্রাসনের ও অন্যান্য সামাজিক অনুষ্ঠানের জন্য কাজের বরাত পেয়েছিলাম আমরা প্রায় প্রত্যেকেই।

তার দরুন এই কাজের জন্য কারো কারো কাছ থেকে অগ্ৰিম টাকাও নেওয়া হয়েছিল। বর্তমানে বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাস সংক্রমণের বিরুদ্ধে লকডাউনের প্রভাবে অনুষ্ঠানগুলি বন্ধ হয়ে গেছে। এদিকে অগ্ৰিম নেওয়া টাকাও খরচ হয়ে গেছে। অনুষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তারা টাকা ফেরত নিচ্ছে। কোনো রকমে কষ্ট-সৃষ্টে তাদের সেই টাকা আস্তে আস্তে ফেরতও দিতে হচ্ছে। তাই আমরা আরও বেশি চিন্তায় পড়ে গেছি, এরপর খাবো কি!

কারণ, একদিকে টাকা ফেরত দিতে হচ্ছে, তার উপর সংসার চালানোর জন্য অর্থ কিভাবে পাবো তারও উপায় খুঁজে পাচ্ছিনা। এই অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে হাওড়া জেলার ফটোগ্ৰাফার অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে সাহায্য প্রার্থনা করে একটি মানবিক আবেদনপত্র পাঠানো হয়েছে। এখন মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাসজনক উত্তরের অপেক্ষায় আছেন ফটোগ্ৰাফাররা।

 

Advertisements

Leave a Reply