মন্ডপ সজ্জায় হাতের কাজের কদর বাড়ছে মহিলাদের
HnExpress পল মৈত্র, দক্ষিন দিনাজপুরঃ দুর্গাপুজোর মণ্ডপ সজ্জার জন্য ও সূক্ষ্ম হাতের কাজে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় কদর বাড়ছে মহিলা শিল্পীদের। জেলার নাম করা ডেকোরেটরগুলি মণ্ডপ সজ্জার নকশা তৈরির কাজে মহিলা শিল্পীদের নিয়োগ করছে। ঘরে বসে এইভাবে সাবলম্বী হতে পেরে উৎসাহ দেখা দিয়েছে মেয়েদের মধ্যেও। পুজোর আগে বাড়তি আয়ে খুশি তাঁরা।
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার নামকরা ডেকরেটর গুলি প্যান্ডেলের বিভিন্ন কারুকার্যের জন্য মহিলাদের নিয়োজিত করছে। সূক্ষ্ম হাতের কাজে দরকার নৈপুন্য। সেখানে পুরুষদের তুলনায় অনেকটা এগিয়ে মহিলারাই। তাই কয়েকবছর ধরে ডেকরেটর গুলির নয়া দৃষ্টিভঙ্গিতে স্বনির্ভর হচ্ছে মেয়েরা। জেলার সদর বালুরঘাটের নামকরা ডেকরেটর ভাই ডেকরেটরস্ এর ওয়ার্কশপে গেলেই মহিলা শিল্পীদের কাজ চোখে পড়ে। পুজোর এই মরশুমে সেখানে অন্তত ১৫০ জন গৃহবধূ ও মেয়েরা বিভিন্ন হাতের কাজে নিয়োজিত রয়েছেন। কোনও অভিজ্ঞ বা প্রধান শিল্পীর নির্দেশনায় কাজ করছেন শিল্পীরা। থার্মোকল, রঙিন পেপার, ভেলভেট কাপড়, হরেক রঙের কাগজ, আঠা, চুমকি ইত্যাদির ব্যবহারে চলছে পাখি, গাছ, ফুল, পাতা বা অন্য ধরনের নকশা তৈরির কাজ। সকাল ৯ টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত কাজের মাঝে ঘণ্টা খানেকের বিরতি পান শিল্পীরা। যোগ্যতা অনুযায়ী তাদের পারিশ্রমিক দিনে ১০০ থেকে ১৫০ টাকা। ঘরে বসে এই কাজে উৎসাহী তাঁরা।
কর্মরত মহিলা শিল্পী সীমা মণ্ডল ও মৌমিতা সূত্রধর জানান, এখান থেকেই তাঁরা হাতের কাজ শিখেছেন। পূজার আগে আড়াই মাস ধরে চরম ব্যস্ত থাকেন। এই কয়েক মাসের উপার্জিত অর্থে পূজার দিনগুলি আনন্দে কাটে। ছেলে মেয়ে বা পরিবারকে এই সময় তাঁরা অর্থ সাহায্য করতে পারেন। বেশ কয়েকবছর ধরে তাঁরা এই কাজ করে আসছেন। প্রয়োজনে নিজের বাড়িতেই বিভিন্ন রকম হাতের কাজ করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
একটি ডেকোরটেরের কর্ণধার নারায়ণ সাহা চৌধুরি জানান, ঘরে বসে নকশা তৈরির কাজে বেশি ধৈর্যের প্রয়োজন। যা ছেলেদের চেয়ে মেয়েদের অনেক বেশি। এছাড়া সূক্ষ্ম কাজগুলি তাঁরাই ভালো করেন। পাশাপাশি, ছেলেরা সব ধরনের কাজ করতে পারলেও মহিলাদের দ্বারা তা সম্ভব হয় না। মহিলাদের সাবলম্বী করতে তাঁর এই ভাবনা। সব দিকে বিবেচনা করে তিনি মহিলাদের প্রাধান্য দেন নকশা তৈরির কাজে। সারাবছর তাঁর কাছেই অন্তত ২০ জন মেয়ে এই কাজ করেন। পূজার মরশুমে অন্তত ১৫০ মহিলাকে তিনি কাজের সুযোগ করে দেন।