বৈদ্য নক্ষত্রদের এক বর্নাঢ্য মেলা
HnExpress অশোক সেনগুপ্ত, কলকাতা : এক ঝাঁক নয়, ঝাঁক ঝাঁক নক্ষত্র। কাকে ছেড়ে কাকে দেখবেন? ৯৪ বছরের স্বাধীনতা সংগ্রামী গৌরী গুপ্তা থেকে অভিনেত্রী-পরিচালিকা সুদেষ্ণা রায়, হরেক মুকূটের অধিকারী মণীষ গুপ্ত থেকে সুরকার রামানুজ দাশগুপ্ত। প্রত্যেকেই বৈদ্য, স্ব স্ব ক্ষেত্রে কৃতী। রবিবার মধুসূদন মঞ্চে এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে এ রকম কমবেশি ৪০ জনকে সম্মানিত করল ’বাঙালি বৈদ্য সমাজ’।
বিভিন্ন ক্ষেত্রে বৈদ্যদের প্রতিষ্ঠা আর একাত্মতার কথা সর্বজনবিদিত। কেবল কীর্তিমানদের স্বীকৃতি জানানোই নয়, এ দিন শতাধিক অভাবীর মুখে হাসি ফুটিয়ে তোলেন সংগঠনের কর্মকর্তারা। যেমন, রামকৃষ্ণ মিশন সোসাইটি অনাথ ভান্ডারের ৫৫ জন পেলেন বিছানার নতুন চাদর। মেধাবী, অভাবী পড়ুয়াদের পড়াশোনায় সাহায্য করে এই সোসাইটি। একটি বৃদ্ধাশ্রমের কর্ণধার সঙ্গীতা মন্ডলকে সম্বর্ধনা জানিয়ে বিবিএস কর্তারা বলেন, শীঘ্রই এক মাসের প্রয়োজনীয় জিনিস পৌঁছিয়ে দেওয়া হবে বৃদ্ধাশ্রমে।
সংগঠনের সম্পাদক বীরেশ্বর দাশগুপ্ত জানান, গোটা বিশ্বে প্রায় ১৬ হাজার বৈদ্য আছেন রেজিস্টার্ড এই সংগঠনের শুভানুধ্যায়ী হিসাবে। তাঁদের যাঁরা যে রকম সহযোগিতা সম্ভব তা করেন। আর, সেগুলি দিয়ে বছরভর চলে নানা রকম সমাজকল্যাণের কাজ। এই সঙ্গে সংগঠনের সদস্যদের মেলামেশা, নানা সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের অবকাশও থাকে।
রবিবারের অনুষ্ঠানেও ছিল সাংস্কৃতিক নানা পসরা। এ দিন সম্মাননাপ্রাপ্তদের মধ্যে যেমন ছিলেন সর্বকালের উজ্জ্বল এক বৈদ্য সূর্য সেনের পরিবারের শরিক, তেমনই আর এক বৈদ্য নক্ষত্র জীবনানন্দ দাসের স্বজন। এ দিন অনুষ্ঠানে স্বীকৃতি জানানো হয় জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষিকা গৌরী গুপ্ত থেকে ময়দানের চিরকালের অন্যতম ফুটবল তারকা স্বপন সেনগুপ্ত, দুই নবীন কৃতী শিল্পী অভিরূপ সেনগুপ্ত এবং প্রয়াত পরিচালক যীশু দাশগুপ্তর পুত্র প্রণয়। ইঞ্জিনিয়ার থেকে সাংবাদিক, বৈজ্ঞানিক থেকে সরোদবাদক, খেলোয়ার থেকে রাজনীতিক— ছিলেন সব ক্ষেত্রের কৃতী। ওঁদের হাতে মানপত্র ও পুরস্কার তুলে দেন শৈবাল সেন, ব্রহ্মানন্দ সেনগুপ্ত, মানস দাশগুপ্ত, মীণাক্ষী দাশগুপ্ত, তানিয়া সেনগুপ্ত প্রমুখ সংগঠনের কিছু সক্রিয় সদস্য।