December 11, 2024

বীজপুরে কুমারী পুজোর আয়োজন

0
Received 576408559473068.jpeg
Advertisements

HnExpress দেবাশিস রায়, বীজপুর : লোকাসুরকে বধ করার জন্য দেবতাকুল আয়োজন করেছিলেন বলে হিন্দু শাস্ত্রবিদদের মত। আর বর্তমান সমাজে রামকৃষ্ণদেব মা সারদাকে প্রথম কুমারী পুজো করেছিলেন। পরবর্তী সময়ে স্বামী বিবেকানন্দ বেলুড় মঠে কুমারী পুজোর প্রচলন করেন। সেই থেকেই বাংলায় মহাষ্ঠমীর দিন হয়ে আসছে এই কুমারী পুজোর চল। আর এখন বেলুড় মঠের সীমা ছাড়িয়ে তা ছড়িয়ে পড়েছে বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে।

ঠিক সেভাবেই কমারী পুজোর আয়োজন করা হয় হালিশহর ও কল্যাণীর মাঝের চর অঞ্চলে। ঐতিহ্যের দিক থেকে এলাকায় প্রাচীনত্বের দাবি করতেই পারে হালিশহর পোড়ো বারোয়ারি তলার কুমারী পুজো। দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে এই কুমারী পুজো। এবছর ছিল কুমারী পুজোর ২২ তম বর্ষ। নিয়ম-রীতি মেনে রামপ্রসাদ ভিটে থেকে কুমারী মায়েদের নতুন বস্ত্র পরিধান করিয়ে সারা রাস্তায় কাপড় পেতে তার ওপর দিয়ে নিয়ে আসা হয় মণ্ডপে। সেখানে চলে আড়ম্বরে পুজোর্চনা। এবার পোড়ো বারোয়ারি সংস্থায় মহাষ্টমীতে কুমারী পুজোয় অংশ নেন রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের সম্পাদক মাননীয় উত্তমানন্দ মহারাজ।

প্রসঙ্গত, এই সংস্থার প্রধান শুভেন্দু চক্রবর্তীর অকাল প্রয়াণের পর তাঁর সুযোগ্য ভাইপো চন্দ্রোদয় চক্রবর্তী নিষ্ঠার সঙ্গে তা পালন করে আসছেন। আর তাঁর এই কাজে সবরকম সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন এলাকার মানুষ। এখানে পঞ্চমীর দিন থেকে পুজোর কদিন রোজ ১০ জন দুঃস্থ মানুষকে নতুন বস্ত্র প্রদান করা হয়।

এরই পাশাপাশি কল্যাণী মাঝের চর অঞ্চলের জগন্মাতা কালী মন্দিরে আয়োজন করা হয় কুমারী পুজো। মহাষ্ঠমীর দিন অনুষ্ঠিত হয় এই পুজো। মন্দিরের প্রধান কৃষ্ণানন্দ মহারাজ স্বয়ং এই পুজো করেন।

Advertisements

Leave a Reply