December 11, 2024

নিউ ব্যারাকপুরে বিশ্বমাতা মন্দিরের শিলান্যাস করলেন রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী

0
Img 20181218 Wa0020.jpg
Advertisements

HnExpress অলোক আচার্য, নিউব্যারাকপুর : আজ নিউ ব্যারাকপুর দক্ষিণ কোদালিয়ার বিশ্ব সেবাশ্রম সংঙ্ঘ এর সমীর ব্রহ্মচারির উদ্যোগে বিশ্বমাতার মন্দিরের শিলান্যাস করলেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী। রাজ্যপাল প্রথমে মন্দিরে প্রবেশ করে ঠাকুর দর্শন করেন এবং তার পরে খাদ খনন করে নির্মাণকার্যের শুভারম্ভ করেন।আমেদাবাদ এর বিখ্যাত স্থপতি বলভদ্র সোমপুরার সংস্থা এই মন্দির নির্মাণের দায়িত্বে রয়েছেন।

বাহাত্তর ফুট লম্বা এবং আটচল্লিশ ফুট চওড়া এবং আটচল্লিশ ফুট উচ্চতার এই মন্দিরটির বিশেষত্ব হল মন্দিরটি সম্পূর্ণ পাথরের তৈরি হবে। এই মন্দিরটি নির্মাণ করতে কোনও লোহা, বা আর.সি. সি. ব্যবহৃত হবে না। সুদূর রাজস্থানের বংশীপাহাড়পুরের পাথরে মন্দিরটি নির্মিত হবে। নগরশৈলী ঘরানায় গড়ে ওঠা এই মন্দিরটি সম্পূর্ণ শাস্ত্রমতে এবং দেবশিল্পী বিশ্বকর্মার স্থাপত্যকলার অনুসঙ্গে গড়ে উঠবে।তাই মন্দিরটি সম্পূর্ণ পাথরের হওয়া সত্ত্বেও কোনোরূপ লোহা, কংক্রিট ইত্যাদি ব্যবহার হবে না। মন্দিরের ভিতের দেওয়ালে থাকবে অষ্টাদশ পুরাণে বর্ণিত বিভিন্ন ঘটনা, বাইরের দেওয়ালে থাকবে ১০৮ টি বিভিন্ন দেবদেবীর মূর্তি।

এছাড়াও থাকবে দশ দিগপাল, নবগ্রহ, দশ মহাবিদ্যা, দশাবতারের ঘটনা। মূল মন্দিরের পাশে গড়ে উঠবে মোট ১৩টি শিব মন্দির। দুই পাশে ৬টি করে শিব মন্দিরের মাঝের মন্দিরে প্রতিষ্ঠিত হবেন সাড়ে ৭ফুটের নর্মদেশ্বর বানলিঙ্গ। যিনি শ্রীশ্রী বিশ্বমাতার ভৈরব হিসাবেই পুঁজিত হবেন। শুধু একটি মন্দির নয় আর্ত -পীড়িত দরিদ্র মানুষের সুচিকিৎসার জন্য দাতব্যশালা(ফ্রী) নির্মাণ করা হবে। ঠাকুর শ্রীশ্রী সমীর ব্রহ্মচারী এদিন সংবাদ মাধ্যমকে বললেন, -হিংসায় দীর্ন এই পৃথিবীতে শান্তির জায়গা হয়ে উঠবে এই আশ্রম। আত্মার মুক্তির সঙ্গে আর্ত মানুষের সেবাই বিশ্ব সেবাশ্রম সঙ্ঘর মূল ব্রত। তাই তিনি তার আরাধ্য দেবী শ্রীশ্রী বিশ্বমাতার নতুন মন্দিরের নাম দিয়েছেন মানবতার সার্বজনীন মন্দির। যেখানে একজন লোক মানুষ হিসেবেই বিবেচ্য হবেন, জাত হিসেবে নয়, বর্ন হিসেবে নয়। সবাই দেবী মাকে নিজের ভেবে পূজা নিবেদন করতে পারবেন।

এদিন শ্রী সমীরেশ্বর নিজ হাতে আঁকা একটি তৈলচিত্র রাজ্যপালের হাতে তুলে দেন। এদিন প্রায় ৫ হাজার মানুষের সমাগম হয়। বিশেষ অতিথি রূপে উপস্থিত রাজ্যপাল তাদের উদ্দেশ্যে বললেন, আমি এখানে এসে খুব খুশি, বিশেষ করে এখানকার পরিবেশ আমাকে মুগ্ধ করেছে।ঠাকুরের ভালোবাসার এবং দর্শনে প্রতি আমি আপ্লুত। এছাড়াও এদিন মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ব সেবাশ্রম সংঘের সহ সভাপতি ডক্টর. ধনপতরাম আগরওয়াল, কুলাবধুত শ্রীমৎ অম্বিকানন্দ আচার্য গোপালক্ষেত্রী,স্বামী সুবেশানন্দ মহারাজ, শ্রী মৎ গৌরব ব্রহ্মচারি, অম্বিকানন্দ অবধূত, নিউব্যারাকপুর পৌরসভার পুরপ্রধান তৃপ্তি মজুমদার, নৃত্যশিল্পী ডক্টর সুধা দত্ত প্রমুখ।

উল্লেখ্য বর্তমানে ঠাকুর শ্রী শ্রী সমীর ব্রহ্মচারী বিশ্ব সেবাশ্রম সংঘ এখন বহুমুখী জনহিতকর সমাজ কল্যাণমূলক কাজে ব্যাপৃত। অবতৈনিক বিদ্যালয়ে ছাত্ৰছাত্রীদের পড়াশুনোর শিক্ষন সামগ্রী বিতরণ করার পরিকল্পনা রয়েছে বিশ্ব সেবাশ্রম সংঘের। এছাড়া বিনামূল্যে চিকিৎসা, অসহায় বৃদ্ধ বৃদ্ধাদের দেখাশোনার পাশাপাশি বিকলাঙ্গদেরও খাদ্য বস্ত্র বিতরণ ও স্বাস্থ্যশিবির পরিচালনার উদ্যোগও নিতে চলেছে এই সংঘ।প্রতিদিন হাজার হাজার ভক্ত সমবেত হয়ে মনের শান্তি খুঁজে পাচ্ছে এই আশ্রমে।

Advertisements

Leave a Reply