বিশেষ ধারাবাহিক প্রতিবেদন”বিপদ পদে পদে” – ৪র্থ পর্ব
HnExpress সম্রাট গুপ্ত, কলকাতা : একের পর এক বিপজ্জনক বাড়ি ভেঙে পড়ছে। সতর্কতার জন্য সে রকম বাড়ি ভাঙতে গিয়ে কড়া হচ্ছে পুরসভা। অন্তত সে রকম ঘোষণা করা হয়েছে। এবার নাকি ইঞ্জিনিয়ার ও পুরকর্মীদের সঙ্গে যাবে ডিমলিশন স্কোয়াড। নতুন আইন তো চালু হল! প্রশ্ন উঠেছে, এর বাস্তব রূপায়ণ হবে কতটুকু?
আইন মোতাবেক নোটিস দিয়ে আগে সচেতন করা হয় জীর্ণ বাড়ির মালিককে। ‘বিপজ্জনক বাড়ি’ বোর্ড লাগানোর পরও তিনবার নোটিস পাঠানো হয়। তারপরও কোনও ব্যবস্থা না নেওয়া হলে, ওই বাড়ির বিপজ্জনক অংশ ভেঙে দেওয়া হয়। কিন্তু ভাঙতে গেলেই বিপাকে পড়তে হচ্ছে পুরকর্মী, ইঞ্জিনিয়ারদের। বাসিন্দাদের ক্ষোভের মুখে পড়তে হয় তাঁদের। এলাকার মানুষের বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে। মারও খেতে হয়েছে ইঞ্জিনিয়ার, কর্মীদের। কখনও আবার বাড়িতে ঢুকতেই বাধা দেওয়া হয়েছে।
এর নেপথ্যে কলকাতা পুরসভাকেই দায়ী করেছেন গৃহমালিকদের সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সুকুমার রক্ষিত। তাঁর অভিযোগ, বাড়ি ভেঙে দুর্ঘটনার পর পুরসভা তদন্ত কমিটি করে। কিন্তু সমাধানের জন্য সুদূরপ্রসারী কোনও পদক্ষেপ নেয় না। আমাদের, মানে বাড়ির আইনি মালিকদের মতামতের তোয়াক্কা করে না। তার ফলে যা হওয়ার তাই হচ্ছে!
(চলবে)