বিশেষ ধারাবাহিক প্রতিবেদন : বিপদ পদে পদে -৩য় পর্ব
HnExpress সম্রাট গুপ্ত, কলকাতা : সেতুর ‘লোড ক্যাপাসিটি‘ নিয়ে চলছে চুলচেরা বিতর্ক। একটা নির্মাণ কতটা ভার বহণ করতে পারে, তার থেকে বেশি ভার সেই নির্মাণের ওপর চাপছে কি না, সময়ের সাথে সাথে সেই ক্ষমতা কতটা, কীভাবে কমে, কে তার হিসেব রাখেন?
রাখবেনই বা কেন? কারণ, সেতুর ক্ষেত্রে পুরসভা, কেএমডিএ, পূর্ত ইঞ্জিনিয়ারেরা জানেন, বড় বিপর্যয় হবে কি না ঠিক নেই। অবসর নেওয়া পর্যন্ত এদিক-ওদিক করে কাটিয়ে দিলেই হবে। আদৌ বড় দুর্ঘটনা হলে অন্যের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে রাজনৈতিক সুরক্ষার সাহায্যে পার পাওয়া যাবে। সমীক্ষা করে বাড়তি পরিশ্রমে লাভ কী?
বাড়ির ক্ষেত্রেও সেভাবে অনেক ক্ষেত্রে উপেক্ষিত হয় লোড ক্যাপাসিটির বিষয়টা। সব দায় যে প্রশাসনের, তা নয়। আমাদের অসতর্কতাও এর জন্য দায়ী। দক্ষিণ কলকাতায় শরৎ বসু রোডে ১৯৯৫ সালে এভাবেই ভেঙে পড়েছিল বহুতল ‘শিবালিক’। পুরণো জীর্ণ বাড়ি নয়। অভিজাতদের একগুচ্ছ ফ্ল্যাট। যে যাঁর মত ভারি মার্বেল মেঝেতে বসিয়েছেন। ফুলের টব দিয়ে সাজিয়েছেন। বহণক্ষমতার কথা মাথায় না রেখেই। ফলে যা হওয়ার তাই হল! এক রাতে হুড়মুড় করে ভেঙে পড়ে ১৬ জন মারা গিয়েছিলেন।
এ সব কারণে ছাদে বাগান করতে গেলে বাঙালি দশ বার ভাবে। কিন্তু রাজারহাটের একটি বাড়ির ছাদে এ রকম বাগান করেছেন বিজয় ঘোষ। কিন্তু বাগানের ওজন? বিজয়বাবুর কথায়, কোনও ছাদের ১৯০ বর্গ মিটার এলাকা অনায়াসে ১২০ কিলোগ্রাম ওজন নিতে পারে। আমি ৫০-৬০ কিলোগ্রামের বেশি ওজন চাপাইনি। যে ভাবে চাষ হবে সেখান থেকে জল লিক করবে না।
বিজয়বাবুর দাবি, আইআইটি-র ছাদে গত ৩-৪ বছর ধরে তিনি পরীক্ষা করে দেখেছেন। এ রকম এক-আধটা ব্যতিক্রমী নিদর্শন মেলে। কিন্তু তা কোটিতে গুটিক। যদিও প্রশ্ন উঠেছে, তাঁর দাবির সত্যতার প্রমাণ কোথায়?
ভবিষ্যতই একমাত্র দিতে পারবে এর উত্তর।
(চলবে)