বাড়ছে ওজন, অনিশ্চয়তার প্রশ্ন সুকান্ত সেতু ঘিরে
HnExpress সম্রাট গুপ্ত, কলকাতা : যাদবপুর উড়ালপুলের ওপর নির্মীয়মান কংক্রিটের ক্র্যাশ ব্যারিয়ার ঘিরে প্রশ্ন উঠেছে। বাড়তি এই চাপ সহ্য করার ক্ষমতা সেতুর আছে কি? মাঝেরহাট সেতুর দুর্ঘটনার পর স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে যাদবপুরের সুকান্ত সেতু নিয়ে দেখা দিয়েছে শঙ্কা।
১৯৮৫ সালের আগস্ট মাসে রাজা সুবোধ মল্লিক রোডের সঙ্গে পূর্ব যাদবপুরের সংযোগকারী এই উড়ালপুল তৈরি হয়। এ ব্যাপারে মূল উদ্যোক্তা ছিলেন সোমনাথ চট্টোপাধ্যায় ও কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়। সম্প্রতি সেতুর মুখে এক স্মরণসভায় প্রয়াত সোমনাথবাবুর সেই অবদানের কথা শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন কান্তিবাফু। লাগোয়া কুমুদশঙ্কর রায়ের নামাঙ্কিত যক্ষা হাসপাতালে মারা গিয়েছিলেন কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য। তাঁর নামে চিহ্ণিত হয় সেতুটি। এর পরিকল্পনা হয় গত শতকের আশির দশকের গোড়ায়। তখন যে ক‘টা গাড়ি চলত এই সেতুর ওপর দিয়ে, এখন তা শতগুন বেড়েছে। অপরিকল্পিত নগরায়ণের দাপটে সেতুটি হয়ে উঠেছে আঁকাবাঁকা বাইপাস কানেকটর।
সেতুর রাস্তার ওপর ক্রমাগত সংস্কারে ও পিচের আচ্ছাদনে, ফুটপাথের ধারে বড়, ভারি স্ল্যাবে ওজন বেড়েছে। তার ওপর প্রায় তিন ফুট উঁচু, নিচের প্রস্থ ১৪ ইঞ্চি, ওপরদিক ৬ ইঞ্চির যে ব্যারিয়ার তৈরি হচ্ছে, তাতে সেতুর ওপর চাপ প্রবল বাড়বে।
এ ব্যাপারে আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দা কমল বিশ্বাস। ৬২ বছরের কমলবাবু আজন্ম সেতুর কাছেই থাকেন। তাঁর অভিযোগ, সেতুর এক ধারে গ্যাস সিলিন্ডার বোঝাই একাধিক লরি সব সময় মজুত থাকে। এখান থেকেই চলে বাড়ি বাড়ি সিলিন্ডার সরবরাহের ব্যবসা। সেতুর তত্বাবধায়ক পূর্ত দফতর চোখ বন্ধ করে আছে। কোনওদিন নাশকতা বা দুর্ঘটনা হলে এ ওর ঘাড়ে দায় ঠেলবে।
ঘটনাস্থলে কাজ চলছে ব্যারিয়ারের। ইঞ্জিনিয়ারদের মতে কংক্রিটের গাঁথনির বদলে জাতীয় সড়কের পাশে ইস্পাতের ক্র্যাশ ব্যারিয়রের মত প্রাচীর দিলে খরচ, নির্মাণের সময় এবং ভার—সবই কম হত। কেন তা হল না তার যুৎসই উত্তর মেলে নি। প্রচুর ফুটপাথের টাইলস ও বালি- স্টোন চিপস সেতুর নানা অংশে বিভিন্ন জায়গায় স্তূপ করে রাখা। সেতুর এক ধারে ফেন্সিং ভীষণভাবে ক্ষয়ে গিয়েছে। নিচে নানা জায়গায় সেতু থেকে জল চুঁইয়ে পড়ছে। পূর্তকর্তারা অবশ্য দাবি করেছেন, শীঘ্রই ওসব মেরামতি করা হবে। তবে কবে, কতটুকু তা হবে, সে ব্যাপারে সংশয় অনেকেরই।
সুকান্ত সেতুতে যে barrier গুলো বসানো হচ্ছে সেগুলো সঠিক design and specifications মেনে করা হচ্ছে না। এতে হিতে বিপরীত হতে পারে; কারণ গাড়ীগুলো ত ভাঙবেই সেই সঙ্গে দেওয়ালের সমূহ ক্ষতি হবে। সত্যিকারের bridge brrier এই ভাবে design হয় না ।Google search খুলে Concrete Bridge Barrier সম্বন্ধে যে কেউ সঠিক তথ্য পেয়ে যাবেন; যা সত্য তাই লিখলাম।ধন্যবাদ ।
Thnx for your valued remarks.