বাঁচতে হলে জানতে হবে, করোনা ভাইরাস আসলে কি? জানতে হবে, করোনা ভাইরাস এর লক্ষণ ও প্রতিরোধে করণীয় কি?


HnExpress ৬ই মার্চ, ওয়েবডেক্স নিউজ, স্বাস্থ্য সচেতনতা ঃ বাঁচতে হলে যেটা আগে জানতে হবে, ➤ করোনা ভাইরাস আসলে কি? ২০১৯-এনকোভি, যা নোভেল করোনা ভাইরাস নামে পরিচিত। করোনা ভাইরাস এমন একটি সংক্রামক ভাইরাস, যা এর আগে কখনো মানুষের মধ্যে ছড়ায়নি। এই ভাইরাসের অনেক রকম প্রজাতি আছে, কিন্তু এর মধ্যে মাত্র ছয়টি প্রজাতি মানুষের দেহে সংক্রমিত হতে পারে। তবে নতুন ধরণের এক ভাইরাসের কারণে সেই সংখ্যা এখন থেকে হবে সাতটি।
বস্তুত, এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলে মানবদেহে যে রোগ হয় তার নাম হল কোভিড-১৯।
➤ কতটা ভয়ংকর এই ভাইরাস? শ্বাসতন্ত্রের অন্যান্য অসুস্থতার মতো নাক দিয়ে জল পরা, গলা ব্যথা, কাশি এবং জ্বরসহ হালকা লক্ষণ সৃষ্টি করতে পারে এই ভাইরাস। কিছু মানুষের জন্য এই ভাইরাসের সংক্রমণ মারাত্মক ক্ষতিকারক হতে পারে। এর ফলে নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট এবং অর্গান বিপর্যয়ের মতো ঘটনাও ঘটতে পারে। তবে খুব কম ক্ষেত্রেই এই রোগ মারাত্মক হয়। কিন্তু, এই ভাইরাস সংক্রমণের ফলে বয়স্ক ও আগে থেকে অসুস্থ ব্যক্তিদের মারাত্মকভাবে অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।
➤ করোনা ভাইরাসের লক্ষণ কী? করোনা ভাইরাস সংক্রমণের প্রধান লক্ষণ হলো, শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া, ধুম জ্বর এবং সর্দিকাশি। বিজ্ঞানীরা বলছেন, ভাইরাসটি শরীরে ঢোকার পর সংক্রমণের লক্ষণ দেখা দিতে প্রায় পাঁচ দিন মত সময় লাগে। আর এর প্রথম লক্ষণই হচ্ছে জ্বর। তারপর দেখা দেয় শুকনো কাশি। এক সপ্তাহের মধ্যে শ্বাসকষ্ট দেখা দেয় এবং তখনই কোনও কোনও রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়।

➤ প্রতিরোধে করনীয় কি?
📌 ঘরের বাহিরে বের হলেই অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করুন।
📌 গণপরিবহন এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন।
📌 ঘরে ফিরে হ্যান্ডওয়াস অথবা সাবান দিয়ে হাত ভাল করে ধুয়ে নিন।
📌 প্রচুর পরিমানে ফলের রস এবং পরিশুদ্ধ পানীয়জল পান করুন।
📌 খাবার কিংবা রান্নার আগে ভাল করে হাত ধুয়ে নিন।
📌 ময়লা কাপড় দ্রুত ধুয়ে ফেলুন।
📌 শোবার ঘর এবং কাজের জায়গা পরিস্কার পরিছন্ন রাখুন।
📌 অপ্রয়োজনে ঘরের জানালা খুলে রাখবেন না।
📌 অসুস্থ্য পশু বা পাখি থেকে দূরে থাকুন।

📌 মাছ, মাংস, ডিম ভাল করে ধুয়ে অধিক টেম্পারেচারে রান্না করুন।
📌 আক্রান্ত ব্যক্তি থেকে কমপক্ষে দুই হাত দূরে থাকতে হবে।
📌 জীবিত ও মৃত গবাদি পশু/ বন্য প্রাণী থেকে দূরে থাকতে হবে।
📌 ভ্রমণকারী আক্রান্ত হলে হাঁচি/কাশির সময় দূরত্ব বজায় রাখা, সর্বদা মুখ ঢেকে হাঁচি/কাশি দেওয়া উচিত ও যেখানে সেখানে থুথু না ফেলা উচিত।
তথ্যসূত্র ঃ টিটিএস হোমিও মেডিকেয়ার।