বনধ ব্যর্থ, মাঝেরহাট সেতুর মতই নাকি ভেঙে পড়বে তৃণমূল সরকার
HnExpress সম্রাট গুপ্ত, কলকাতা : মাঝেরহাটের সেতুর মতই ২০১৯-এর ভোটে এ রাজ্যে মাঝেরহাট সেতুর মতই নাকি ভেঙে পড়বে তৃণমূল সরকার। সোমবার এরকম দাবিই করলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। আজকের বনধ ব্যর্থ— এই দাবি করে এদিন তিনি বিজেপি দফতরে জানান, “শিক্ষাকে এরা অন্তর্জলী যাত্রায় নিয়ে গিয়েছে। সর্ব ক্ষেত্রে ব্যর্থতা। কেবল বিজেপি-র সমালোচনা করলে হবে?“
পেট্রোল-ডিজেলের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির যে অভিযোগের ভিত্তিতে বাম-কংগ্রেস বনধ ডাকল, তা পুরোপুরি ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন দিলীপবাবু। তিনি দলের রাজ্য দফতরে এ দিন সাংবাদিকদের বলেন, “২০০৪-এ যখন কেন্দ্রে ইউপিএ সরকার ক্ষমতাসীন হয়, তেলের দাম ছিল লিটারপিছু ৩৩ টাকা ৭১ পয়সা। ২০১৪-তে এই দাম হয় প্রতি লিটারে ৭১ টাকা ৪১ পয়সা। সাধারণ হিসাবে বছরে বেড়েছে ৩ টাকা ৮০ পয়সা হারে। আর গত চার বছরে বেড়ে এই দর ৮০ টাকা ছাড়িয়েছে। অর্থাৎ, প্রতি বছর বেড়েছে ২ টাকার কিছু বেশি।”
তাহলে সাধারণ মানুষের নিষ্কৃতি পাওয়ার পথ কোথায়? এই প্রশ্নের উত্তরে দিলীপবাবু বলেন, তেল ছাড়া চাল-ডাল-তেল এ সবের দাম গত চার বছরে বাড়েনি। মুদ্রাস্ফিতী রোধে এই সাফল্যের কথা কেউ বলছেন না কেন? পেট্রোল-ডিজেলে জিএসটি লাগু করলে ভাল হবে। কিন্তু এই দাবি তো তৃণমূলকে তুলতে হবে। খালি লোক ক্ষ্যাপানোর রাস্তায় হাঁটলে হবে? ইউপিএ আমলে একবার তেলের আন্তর্জাতিক বাজারদর উল্লেখযোগ্য নেমে গিয়েছিল। কিন্তু দেশীয় দাম রয়ে গিয়েছিল অপরিবর্তিত। এনডিএ আমলে কিন্তু এ রকম হয় নি।
দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু এ দিন সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, দেশের অন্য বেশিরভাগ শহরে কলকাতার চেয়ে ডিজেলের দাম কম। বিভিন্ন রাজ্য ভ্যাটে ছাড় দিয়ে মানুষকে সাহায্য করছে। এ রাজ্য তাহলে কেন করছে না? উল্টে মানুষকে ভুলভাল বুঝিয়ে সমস্যায় ফেলছে। তেলের মূল্যবৃদ্ধ হলে রাজ্যের আর্থিক লাভ বেশি হয়। সেই বাড়তি লাভ করছাড় দিয়ে রাজ্যবাসীকে সাহায্য করুক!