ঠান্ডার মরশুমে ফের সক্রিয় গরু পাচার
HnExpress পল মৈত্র, দক্ষিন দিনাজপুর ঃ ঠান্ডার মরশুম শুরু হতে না হতেই হিলি সীমান্তে ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছে গোরু পাচারচক্ত। কুয়াশা বাড়ার সাথে সাথে বাড়তে থাকে এখান থেকে বাংলাদেশে গোরু পাচার। সূত্রের খবর অনুযায়ী অনুমান করা হচ্ছে যে, কার্যত পুলিশ ও বিএসএফের মদতেই এই পাচার কার্য চলছে। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলাকে তিন দিক থেকে ঘিরে রয়েছে বাংলাদেশ সীমান্ত। জেলায় ভারত বাংলাদেশ সীমান্তের ২৫২ কিলোমিটার স্থান রয়েছে। তার মধ্যে এখনও ৩২ কিলোমিটার উন্মুক্ত রয়েছে। নেই কোনও কাঁটাতার। মূলত এই এলাকা দিয়ে সব থেকে বেশি পাচার হয় বলে অভিযোগ।
শীতের মরশুমে কুয়াশায় অন্ধকার ঘন হওয়ায় ফের গোরু পাচারের করিডর হয়ে ওঠেছে হিলি সীমান্ত। বেশকিছু দিন ধরেই রমরমা ভাবে চলছে গোরু পাচার। হাট থেকে গোরু ক্রয় করে সেগুলি তিওড় ডাঙ্গি এলাকায় রাখার পর ত্রিমোহিনী দিয়ে চক গোপাল, ডুমরণ, গোবিন্দপুর, জামালপুর সীমান্ত দিয়ে পাচার হচ্ছে বলেই বিশ্বস্ত সূত্রের খবর। এদিকে পাচার চক্রের মাথায় রয়েছে রাজনৈতিক দলের দোর্দণ্ড প্রতাপশালী ব্যক্তিরা। এদিকে প্রশ্ন ওঠেছে কার মদতে এমন কারবার চলছে ? তবে কি পুলিশ বিএসএফের মদত রয়েছে ? আবার কেউ কেউ দাবি করছে মদত ছাড়া এমন কাজ করার সাহস পাবে কি করে ?
কেটে গিয়েছে চার দশকেরও বেশি সময়। দেশ এখন ডিজিটালের শিখরে। উন্নত হয়েছে সামরিক ব্যবস্থা। কিন্তু যেন সেই খোলা সীমান্ত, অবৈধ মালপত্রের পাচার এখনও গ্রাস করে রেখেছে হিলি সীমান্ত ব্যবস্থাকে। দিনে স্টোরিং রাতে পাচার এ যেন হিলির নিত্যসঙ্গী। আজ কাল পাচার কাজের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছে স্কুল পড়ুয়ারাও। রুটিরুজি জোগাড়ে হিলিতে কৃষিকাজের বিকল্পে নেই কোনও কর্মসংস্থান বলে অভিযোগ পাচারকারীদের।
এবিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কিছু ব্যক্তিরা জানান, অনুপ্রবেশকারী সমাজবিরোধীরা গোরু পাচার করে বিষিয়ে তুলেছে গোটা জেলা। রাত হলেই রমরমা ভাবে গোরু পাচার চালু হয়। প্রতিবাদ করতে গেলে আক্রান্ত হতে হয় সাধারণ মানুষকে। এবিষয়ে প্রশাসনকে জানিয়ে কোনও লাভ হয়নি। এর পাশাপাশি পাচারকারীরা মদ, গাঁজা, জুয়াতেও সমাজ ব্যবস্থাকে নষ্ট করে দিচ্ছে। তাই সমাজকব্যবস্থাকে কলঙ্ক মুক্ত করতে হলে অবিলম্বে কঠোরতম ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত প্রশাসনের, এমনটাই দাবী বলে জানান তিনি। অতি শীঘ্রই প্রশাসনের তরফ থেকে পুরো বিষয়টি খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের কথা বলা হয়।