ফের বীজপুরে রাজনীতির আঙিনায় বিধায়ক শুভ্রাংশু
HnExpress দেবাশিস রায়, হালিশহর : বেশ কিছুদিন বীজপুরের রাজনীতির আঙিনা থেকে সরেছিলেন বিধায়ক শুভ্রাংশু। কিন্তু কী কারণে? তার কারণ অনুসন্ধান না করেই বলা যায় কারণটা কী! তবু এরই মধ্যে যখনই তিনি মন্চে হাজির হয়েছেন, তখনই তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন রাজনীতির ময়দান থেকে তিনি সরে যাননি বা যাচ্ছেন না এখনই। আর সম্প্রতি তাঁর অসুস্থতার জন্য তিনি ময়দান থেকে সরে থাকায় বীজপুর জুড়ে দেখা দেয় গোষ্ঠী কলহের প্রকট রূপ।
আজ ফের তিনি হাজির হন হালিশহরের কোনা এলাকায় ১২ নম্বর ওয়ার্ডের দলীয় কার্যালয়ের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে। এই নতুন ভবনের সূচনাও করেন শুভ্রাংশু। হাজির ছিলেন হালিশহর পুরসভার প্রধান অংশুমান রায়, কাউন্সিলর কল্যাণী বসুবিশ্বাস, বাসুদেব সাহা-সহ বেশ কয়েকজন কাউন্সলর ও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।
সংক্ষিপ্ত ভাষণে পুরপ্রধান বলেন, পুরনো ও নতুন কর্মীদের নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। দলেরই কিছু নেতা-কর্মী বিজেপি-র প্ররোচনায় দলের ভেতর ভাঙন ধরাতে চাইছে বলেও তিনি অভিযোগের সুরে বলেন। তা কোনও মতেই বরদাস্ত করা হবে না। প্রসঙ্গত, তিনি হালিশহর টাউন তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতিও।
বিধায়ক শুভ্রাংশু তাঁর স্বভাবসিদ্ধ চাঁচাঝোলা ভাষায় তীব্র ভৎসনা করেন ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সুনিতা বিশ্বাসকে। বলেন, তৃণমূল দল ও নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি দেখেই এলাকার মানুষ সুনিতাকে ভোট দিয়ে জিতিয়েছিল। আর আজ যখন তাঁরই ওয়ার্ডে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি টাঙিয়ে দলীয় অফিসের সূচনা হচ্ছে সেখানে তিনিই নেই। এটা মেনে নেবে না এলাকার মানুষ। এমন দ্বিচারিতা নিয়ে আর যাই হোক তৃণমূল কংগ্রেস দলটা করা যাবে না বলেও তিনি হুঁশিয়ারি দেন।
এদিকে বিধায়ক যখন এমন ভাষায় বক্তব্য রাখছেন ১২ নম্বর ওয়ার্ড অফিসের উদ্বোধন করে, তখন সুনিতা ব্যস্ত ছিলেন বিক্ষুব্ধ কাউন্সিলরদের সঙ্গে এক সভায় ৫ নম্বর ওয়ার্ডে। ঠিক তার পরদিনই ৯ অক্টোবর, মঙ্গলবার ওই ১১ জন কাউন্সিলর মিলিত হন ১২ নম্বর ওয়ার্ডে এক কর্মিসভায়।
Good news .