কলকাতা প্রেস ক্লাবের এক অন্য রকম প্রতিযোগিতা
HnExpress সম্রাট গুপ্ত, কলকাতা : কাজী ফাহিম রয়েদ, শ্রীতমা দাস, শৌণক, সুম্পিয়া, সাগ্নিক মালাকার, মনামী চক্রবর্তী— আর পর পাঁচটা দিনের চেয়ে রবিবার ওদের কাছে ছিল একেবারেই অন্যরকম। স্কুল নেই। সাতসকালে উঠে পড়তে বসার জন্য মায়ের তাড়া নেই। বরং, ঘুম থেকে উঠে তাড়া— তাড়াতাড়ি কর, মাঠে যেতে হবে।
এ দিন ময়দানে অ্যামেচার কাবাডি ফেডারেশন এর মাঠে বসেছিল কলকাতা প্রেস ক্লাবের বার্ষিক ক্রীড়ানুষ্ঠান। তাতে কেবল ক্লাব সদস্যরা নন, অংশ নেন তাঁদের পরিবারের লোকেরাও। সকাল সাড়ে ন‘টায় শুরু হয় অনুষ্ঠান। জাতীয় সঙ্গীতের মূর্চ্ছণার সঙ্গে ক্লাবের পতাকা উত্তোলন হয়। সংক্ষিপ্ত ভাষণে ক্লাব সম্পাদক কিংশুক প্রামাণিক এবং সভাপতি স্নেহাশিস সুর বলেন, ক্লাব সমর্থকরাই আমাদের সম্পদ।
হরেক রকম প্রতিযোগিতা ছিল। ছিল ২-৭ বছরের ২৫ মিটার দৌড়, ৮-১২ বছরের ৫০ মিটার দৌড়। এ ছাড়াও ৫০ মিটার দৌড় ছিল ১৩-১৬ বছরের, ১৭-৫০ বছরের, ৫১-৬০ বছরের এবং ষাটোর্ব্ধদের জন্য। ছিল হাঁড়ি ভাঙা, যেমন খুশি তেমন সাজো, মহিলাদের ‘পাসিং দ্য বল’ প্রভৃতি।
প্রতিযোগিতার ২৫ মিটার অরেঞ্জ রেসে প্রথম তিন স্থান দখল করল শ্রেয়াণ দাস, স্বপ্ন চৌধুরী, প্রিয়াংশু দাস। ৮-১২ বছরের সাম রেসে প্রথম তিনটি স্থান পেল দেবাদৃতা সেনগুপ্ত, দীক্ষা গাঙ্গুলি, শ্রেয়া দে। যারা তালিকায় আসেনি, তারাও প্রাণ ভরে উপভোগ করেছে গোটা অনুষ্ঠান। ‘তোমার দেখা নাই রে তোমার দেখা নেই,‘ ‘আজ মন চেয়ে চেয়ে আমি হারিয়ে যাব’— সিন্থেজাইসরে এ সবের মূর্চ্ছনা। ছিল এর তালে তালে কার্টুন চরিত্রের সঙ্গে বাচ্চাদের নাচ। সবার প্রিয় অংশু চক্রবর্তীর ঘোষণা।