April 24, 2025

প্রকাশ হল সর্বভারতীয় দল তৃণমূল কংগ্রেসের নির্বাচনী ইস্তাহার

0
Advertisements

HnExpress নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা ঃ আজ সর্বভারতীয় দল তৃণমূল কংগ্রেস ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের ইস্তাহার প্রকাশ করলেন জননেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি আজ বললেন যে, আগামী দিনে সংযুক্ত ভারত গড়ার লক্ষ্যে নানা দল একসাথে একটি অভিন্ন কর্মসূচি তৈরী করবে। আর তাই আজ দলীয়ভাবে তৃণমূল কংগ্রেসের ইস্তাহারের মাধ্যমে দলের অভিপ্রায়
প্রকাশ করা হল।

মূলত বাংলা, ইংরেজি, হিন্দি, নেপালি, অল চিকি ভাষায় প্রকাশিত হয়েছে এই বছরের নির্বাচনী ইস্তাহার। দার্জিলিং থেকে জঙ্গলমহল, কৃষি থেকে শ্রমিক, মহিলা থেকে অনগ্রসর শ্রেণী এবং সম্প্রীতি সহ নানা বিষয়ের উল্লেখ রয়েছে এই ইস্তাহারে।

সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের এবছরের নির্বাচনী ইস্তাহারের ১২ টি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বিষয় গুলি নিম্নরূপ ঃ—

১. বিপদজনক ও জনবিরোধী নোটবাতিল (demonetisation)- এর কার স্বার্থে-এর পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করা হবে। সুপ্রিম কোর্টের কোনও প্রাক্তন বিচারপতির মাধ্যমেই এই তদন্ত করা যেতে পারে।

২. দেশের ছাত্র ও যুবক-যুবতীদের আরও বেশি পরিমাণ কর্মসংস্থান দেওয়া আমাদের লক্ষ্য।

৩. SC/ST এবং OBC (সংখ্যালঘুসহ) মানুষদের জন্য সংরক্ষিত প্রতিটি আসন পূর্ণ করার ওপরে আমরা বিশেষ জোর দেব।

৪. কৃষকদের অর্থনৈতিক সুরক্ষা এবং জীবিকা নির্বাহের সুবন্দোবস্ত করা আমাদের কাছে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ। আমরা লক্ষ্য রাখব যাতে কৃষকরা কম দামে উৎপাদিত শস্য বিক্রী করতে বাধ্য না হন।

৫. অসংগঠিত ক্ষেত্রে ব্যাপক পরিমাণে সামাজিক সুরক্ষা প্রদান করা হবে।

৬. নারীদের ক্ষমতায়নের দিকে আমরা বিশেষ ভাবে নজর দেবো।

৭. জি এস টি-র পেছনে মূল ভাবনাটি প্রাথমিক ভাবে ছিল সম্পূর্ণ আলাদা। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার কার্যত যেভাবে জি এস টিকে প্রয়োগ করলেন তা ক্ষুদ্রব্যবসায়ী এবং সাধারণ ক্রেতাকে বিপর্যস্ত ছাড়া আর কোনো উপকারই করল না। সুতরাং মুক্তমনে জিএসটি-কে পর্যালোচনা করতে হবে যাতে এর মাধ্যমে জনসাধারণ, ক্রেতা এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি সংস্থা উপকৃত হয়।

৮. সমাজের দরিদ্রতম অংশের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের সুযোগ বাড়ানোর জন্য ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পটিকে ২০০ দিনের কাজের প্রকল্পে রূপায়িত করা হবে। এছাড়াও মজুরীর পরিমাণ দ্বিগুণ করে আয়কে সুনিশ্চিত করা হবে যাতে মানুষ সর্বতোভাবে সম্মানের সঙ্গে জীবিকা নির্বাহ করতে পারেন।

৯. যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাকে আরো সমৃদ্ধ করতে, প্ল্যানিং কমিশনের একটি নতুন মডেল নির্ধারণ করে, রাজ্যগুলির সঙ্গে লাগাতার কথোপকথন বজায় রাখা হবে। প্ল্যানিং কমিশনটি হয়ে উঠবে উন্নয়নের কেন্দ্রবিন্দু এবং সবাইকে নিয়ে চলা ও যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসনতন্ত্রকে রক্ষা করা হবে এর মূল লক্ষ্য।

১০. উন্নত সামাজিক পরিকাঠামোর স্বার্থে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে আরও বিনিয়োগ বাড়ানো হবে যাতে এর সুবিধা সমস্ত স্তরের মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া যায়।

১১. দেশের জনসাধারণের সামগ্রিক উন্নয়নের স্বার্থে, খেলাধুলা সহ সকল সাংস্কৃতিক ভাবধারাকে উৎসাহ দেওয়া হবে।

১২. দীর্ঘমেয়াদি পদ্ধতির মাধ্যমে আমাদের অর্থনৈতিক উন্নয়নের দিকে নজর দিতে হবে যাতে শিল্প, কৃষি এবং পরিষেবা, প্রতিটি ক্ষেত্রে উন্নয়ন প্রস্ফুটিত হয় সম্পূর্ণরূপে এবং বিশ্বে আমাদের দেশ যেন স্বমহিমায় প্রতিষ্ঠিত হয়, তৎসহ নানা বিষয় তুলে ধরা হয়েছে এই ইস্তাহারে।

Advertisements

Leave a Reply