পঞ্চায়েত ভোটে সন্ত্রাসের সিবিআই তদন্তের সুপারিশ রিপোর্ট রাজ্যপালকে
HnExpress বিশেষ সংবাদদাতা, কলকাতা : গত এপ্রিল মাসের তৃতীয় সপ্তাহে পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণার পর থেকে একের পর এক যে অনিয়ম ও সন্ত্রাসের অভিযোগ ওঠে, তার জের গড়ায় গোটা দেশে। ওই সন্ত্রাসের বিস্তারিত রিপোর্ট রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠির কাছে দাখিল করল পিপলস ফোরাম ফর জাস্টিস (পিপিএফজে)। বৃহস্পতিবার ফোরামের তথ্যানুসন্ধানী কমিটির চার শীর্ষ প্রতিনিধি রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে এই রিপোর্ট তুলে দেন।
মানবাধিকার রক্ষা ও সংশ্লিষ্ট নানা বিষয়ে সক্রিয় পিপিএফজে-র অছি পরিষদ বিশিষ্ট পাঁচ জনকে নিয়ে একটি তথ্যানুসন্ধানী কমিটি তৈরি করে। জম্মু ও কাশ্মীর এবং দিল্লি হাইকোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি তথা ন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস কমিশনের প্রাক্তন সদস্য বিসি প্যাটেলের নেতৃত্বে এই কমিটির বাকি সদস্যরা হলেন গুজরাত হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি এসএম সোনি, উত্তরপ্রদেশ পুলিশের প্রাক্তন ডিজি ভানুপ্রতাপ সিং, আহমেদাবাদের ফরেনসিক মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডিআর কোঠারি এবং গুজরাত বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষক ডঃ কোমল শাহ এবং ডঃ তারকেশ্বর পান্ডে।
রাজ্যপালের সঙ্গে আলোচনার পর বিচারপতি পটেল বলেন, “আমাদের যাবতীয় পর্যবেক্ষন, প্রমাণ ও ছবি-সহ একটি বইয়ে লিপিবদ্ধ করেছি। সেটি রাজ্যপালের হাতে তুলে দিলাম।“ ‘ডেমোক্রাসি হ্যাঙড’ শিরোনামে ৬২ পৃষ্ঠার এই বইয়ে অষ্টম অনুচ্ছেদে সুপারিশ হিসাবে ভোটের হিংসাত্মক ঘটনাগুলি সিবিআইকে দিয়ে তদন্ত করাতে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারকে অনুরোধ করা হয়েছে।
পঞ্চায়েত ভোটের সময় বা তা পর যে সব জায়গায় হিংসাত্মক ঘটনা ঘটে, জুন মাসের ১১-১৪ তারিখ তথ্যানুসন্ধানী কমিটির সদস্যরা সেই সব জায়গায় সমীক্ষায় যান। পুরুলিয়ার ত্রিলোচন মাহাতো এবং দুলাল কুমার ছাড়াও অজিত কুমার মুর্মূ (বাঁকুড়া), রজনীকান্ত রায়, মুনিরুল বৈদ্য এবং বিপ্লব শিখাধার ‘নৃশংস খুন’-এর কথা লেখা হয়েছে রিপোর্টে। ঝুঁকি নিয়েও যাঁরা কমিটির তদন্তে সাক্ষ্য দিয়েছেন, উল্লেখ করা হয়েছে তাঁদের নামও।
পিপিএফজে-এর তরফে দাবি করা হয়েছে, যে সব জায়গায় মনোনয়নে প্রার্থীদের বাধা দেওয়া হয়েছে, সেই সব স্থানে ফের ভোট নেওয়ার নির্দেশ দিক রাজ্য সরকার। পঞ্চায়েত ভোটে সব রকম ক্ষতিগ্রস্তদের পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ, পুলিশি নিস্ক্রিয়তার বিষয়সমূহ দেখতে নিরপেক্ষ তদন্ত দল তৈরি প্রভৃতি ব্যবস্থা করতে রাজ্যকে আর্জি জানিয়েছে পিপিএফজে।