দিঘা থেকে ৬০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে ফণী, মাঝ রাতেই খড়্গপুর হয়ে প্রবেশ করছে কলকাতায়
HnExpress অর্নব দেবনাথ, মেদিনীপুর ঃ রাতের দিঘায় উত্তাল সমুদ্র। বাঁধ উপচে জল ঢুকছে সৈকত শহরে। এ রাজ্যেও ফণীর প্রভাব শুরু। দিঘা, মন্দারমণি-সহ উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে শুরু হয়েছে প্রবল বৃষ্টি।
দিঘা-মন্দারমণিতে উত্তাল সমুদ্র। ১০ থেকে ১৫ ফুট উঁচু ঢেউ আছড়ে পড়ছে উপকূলে।
সমুদ্রের ধার বরাবর বাঁধ উপচে জল ঢুকছে সৈকত শহরে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, রাত আটটা নাগাদ ওড়িশার জাজপুরের কাছে রয়েছে ফণী। অর্থাৎ এখন কলকাতা থেকে ২০০ কিলোমিটার দূরে এবং দিঘা থেকে ৬০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে ফণী।
আবহাওয়া দফতর আরও জানিয়েছে, কলকাতায় যখন ফণী প্রবেশ করবে, তখন ঝড়ের গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় ৭০ থেকে ৮০ কিলোমিটার। তবে ৫ই মে রবিবারের পর থেকে আর ফণীর প্রভাব থাকবে না এবং দুর্যোগ পুরোপুরি কেটে যাবে। যদিও এখনও এ রাজ্য থেকে অনেকটাই দূরে রয়েছে ফণী। আবহাওয়া দফতর জানিয়ে দিয়েছে, ওড়িশা ছেড়ে রাজ্যে আছড়ে পড়তে শনিবার ভোররাত হবে। ঝড়ের শক্তিও অনেকটাই কমবে বলে আশা করা যায়।
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছিল, সন্ধ্যার পর থেকেই ওড়িশা লাগোয়া এ রাজ্যের জেলা গুলিতে ঝড় বৃষ্টি শুরু হবে। সেই ঝড়ের গতিবেগ হবে ঘণ্টায় থাকবে ৭০ থেকে ৮০ কিলোমিটার। ধীরে ধীরে সেই ঝড়ের গতিবেগ বাড়তে থাকবে বলে জানাচ্ছে আবহাওয়া দফতর। আজকের ২০ সেঃ এর ঝড়ে মেদিনীপুরের বেশ কিছু জায়গায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয় এবং উত্তাল ঝড়ের দাপটে বহু গাছ উপরে এসে ভেঙেছে প্রায় বহু কাঁচা বাড়ি। আহত হয়েছে বেশ কিছু মানুষ। উড়ে গেছে বেশ কয়েকটি বাড়ির চাল।
মাঝরাত নাগাদ সেই ঝড়ই ঘণ্টায় প্রায় ১০০ কিলোমিটারের কাছাকাছি গতিবেগ নেবে। দীঘা উপকূলবর্তী এলাকায় তা ১১৫ কিমি বেগে আছড়ে পরল ফণী, বঙ্গোপসাগর হয়ে ১১০ কিমি বেগে ধেয়ে আসছে কলকাতার দিকে। সুত্রের খবর এর মধ্যেই এদিন সকাল সওয়া ১০টা নাগাদ মাত্র ২০ সেকেন্ডের একটি দমকা হাওয়া ফণীকে ঘিরে মেদিনীপুরবাসীর আতঙ্ক কয়েক গুণ বাড়িয়ে দিল। এসময় একটা ঝড় বয়ে যায় মেদিনীপুর শহরের মির্জা বাজার এলাকার উপর দিয়ে। সেই ঝড়ের শক্তি এতটাই বেশি ছিল যে আশেপাশের প্রায় ২৫টি বাড়ির চাল উড়ে গিয়েছে। কোনওটা আবার বাঁশের কাঠামো নিয়ে পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে।