December 9, 2024

সম্ভাব্য আসন্ন আরও দিন পাঁচেক সূয্যিমামার ক্রোধাগ্নিতে জ্বলবে গোটা রাজ্য

0
Heat.jpg
Advertisements

HnExpress ওয়েদার রিপোর্ট, ইন্দ্রাণী সেনগুপ্ত ঃ বিধ্বংসী ফণীর প্রত্যাবর্তন এর পরে কলকাতা সহ গোটা রাজ্য এখন গ্রীষ্মের দাবদাহে দাউ দাউ করে জ্বলছে। এখন রাজ্যের যা পরিস্থিতি তাতে স্বস্তির নিশ্বাস নিতে গেলে দরকার পর্যাপ্ত পরিমাণে বৃষ্টি। আর এখন এই পরিস্থিতিতে সেই বাংলা ব্যান্ডের গানটা বড্ড মনে পড়ছে, “বৃষ্টি’ তোমার দেখা নাই গো, তোমার দেখা নাই”। কিন্তু আবহাওয়া দপ্তর সুত্রের খবর, আগামী পাঁচ দিনের ভিতরে বঙ্গে বৃষ্টির তো কোনো আশাই নেই, বরং কলকাতা, দক্ষিণবঙ্গ সহ রাজ্যের বেশির ভাগ জেলারই তাপমাত্রার হার বৃদ্ধি পাবে অনেংকাশে।

এদিকে গলদঘর্ম হয়ে নাকাল রাজ্যবাসী এখন ঝড় না হয় বৃষ্টি কিছু একটা চাইছে। তবেই চাইলেই যে সব কিছু পাওয়া যাবে এমন তো নয়। প্রকৃতি চলে তার নিজের নিয়মে, নিজের খেয়ালে, সেখানে মানুষের চাওয়া না চাওয়াকে থোড়াই কেয়ার করে সে। ফণী আসার আগে হাওয়া দপ্তর সুত্রে আগাম সতর্ক বার্তা দেওয়ার পরেও প্রকৃতি তার সেই প্রবল শক্তি হারানোর ফলে কলকাতা বেঁচে যায় ঝড়ের তান্ডব থেকে। রোদ-বৃষ্টি, ঝড়-তুফান বা ভুমিকম্প যাই বলুন, সবটাই ঈশ্বর সৃষ্ট প্রকৃতির নিছক খেয়াল।

সেখানে মানুষের নাক গলানোর অধিকার নেই। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, বর্তমানে প্রকৃতির নিজস্বতা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে বা বিভিন্ন প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণ কিন্তু মানুষ এবং তাদের অত্যাধুনিক জীবনযাত্রা। কিন্তু তবুও মানুষের ইচ্ছে বা প্রয়োজন অনুযায়ী ঝড়-বৃষ্টির আসা যাওয়া একেবারেই সম্ভব নয়। হাওয়া দপ্তর সুত্রে জানানো হয়েছে যে, বর্তমানে কোনো রকম বৃষ্টির কোনো সম্ভাবনা নেই গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের কোনো জেলায়। আবহবিদদের মতে, কতদিন এই অবস্থা চলতে পারে তা বলা মুশকিল। তবে আগামী পাঁচ দিনের মধ্যে অন্তত তেমন কোনো আশার আলো দেখাতে বা আশ্বাসবাণী দিতে পারছেন না তাঁরা।

অন্যদিকে সেই তুলনায় ভালো আছে রাজ্যের উত্তরবঙ্গ। বৃষ্টি না হলেও সেখানকার আবহাওয়া বেশ মনোরম। হালকা গরম অনুভূত হলেও সন্ধ্যা নামলেই সেখানকার প্রবাসী বাঙালীদের এখনও গায়ে হালকা কিছু চাপাতে হয়। তার কারণ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা সেখানে এখনও ২০°-র নীচেই থাকচ্ছে। এদিকে সেই তুলনায় কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলায় গড়ে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৯° থেকে ৪০° ডিগ্রি। আবার অনেক জেলাতেই একটু বেলা বাড়ার সাথে সাথেই তাপমাত্রা বাড়তে বাড়তে তা পৌঁছে যাচ্ছে ৪২° ডিগ্রিতে। রাজ্যের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৮° ডিগ্রির কম হওয়ার সম্ভাবনা তো নেই বরং, আগামী বেশ কয়েক দিনের দৈনিক তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চাইতে দুই তিন ডিগ্রি অধিক থাকবে বলেই সুত্রের খবর।

যেহেতু যাওয়ার সময় ফণী বাবু সমস্ত আর্দ্র বায়ু টেনে নিয়ে চলে গিয়েছে, ফলে আর কোনও আর্দ্র হাওয়া সমুদ্রের দিক থেকে প্রবেশ করতে পারছে না এ রাজ্যে। আর আর্দ্রতা জনিত অস্বস্তি রয়েছে তার পুরো ভাপটাই উঠে আসচ্ছে আশেপাশের অগভীর জলাশয় থেকে। এখন যা স্বস্তি দিতে পারে সমগ্র রাজ্যবাসীকে তার জন্য প্রয়োজন বাইরে থেকে আগত পর্যাপ্ত পরিমাণে জলীয় বাষ্প। যদি তার ধাক্কাতেই কিছু একটা হয়। নচেৎ হাওয়া দপ্তর সুত্র অনুযায়ী বলা যায়, “বঙ্গে বাঘের দেখা পাওয়া গেলেও, বৃষ্টি তোমার দেখা নাই”।

Advertisements

Leave a Reply