দমদম লোকসভা প্রার্থী সৌগত রায়ের সমর্থনে জনসভার আয়োজনে স্টুডিও OHD
HnExpress রূপা বিশ্বাস, দমদম ঃ সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনে সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের দমদম লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী অধ্যাপক সৌগত রায়ের সমর্থনে, গতকাল দমদম এর ২ং ওয়ার্ডের এলাকায় এক বিরাট পথ সভার আয়োজন করা হয়। মূলত
তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী অধ্যাপক সৌগত রায়কে পুনরায় নির্বাচিত করতেই এই পথসভার আয়োজন করা হয়েছিল। পথসভাটি বিবেকানন্দ পল্লীর মাঠ থেকে শুরু করে ২নং রেলগেট হয়ে আবারও সেই মাঠেই প্রার্থী সৌগত রায়ের বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে শেষ হয়।এদিন এই প্রচারের সমাবেশে বিশেষ ভাবে উপস্থিত ছিলেন প্রার্থী অধ্যাপক সৌগত রায় সহ মন্ত্রী ব্রাত্য বসু, জাতীয় ফুটবলার হোসেন মুস্তাফা, সঞ্জয় মাঝি, হবিবুর রহমান, ছোট পর্দার বিশিষ্ট অভিনেতা সৈকত দাস, ধীরু ব্যানার্জি, সিউলী গোমস(অভিনেত্রী/লেখিকা), এবং স্টুডিও OHD -র কর্ণধর অভিজিৎ মন্ডল। এই সমাবেশ প্রচারের মুখ্য দায়িত্বেই ছিলেন অভিজিৎ মন্ডল বা সবার প্রিয় ও কাছের মানুষ অলিদা। তিনি সমগ্র অনুষ্ঠানটিকে যথেষ্ট দায়িত্ব সহকারে পালন করেন। এই প্রচারের দায়িত্বের ভার মন্ত্রী ব্রাত্য বসু ও দক্ষিণ দমদম পৌরসভার পুর পারিষদ প্রবীর পালের পক্ষ থেকে এবং ওপর মহল থেকে বিশেষ ভাবে অলিদাকে হস্তান্তর করা হয় বলে জানান তিনি।প্রসঙ্গত, অলিদা পেশায় একজন মিউজিক ডিরেক্টর। তিনি যীশু খ্রীস্ট এর ভক্ত এবং পথপ্রদর্শক। যে কারণে তিনি পবিত্র বাইবেল শাস্ত্রমতে তাঁর ইনকামের একঅংশ চার্চকে দান করেন। পাড়ার সবাই অলিদাকে ভালোমানুষ এবং খুব পরোপকারী এবং একজন প্রকৃত সমাজসেবি হিসাবেই চেনেন বা জানেন। এদিন তিনি প্রচারের পর নিজস্ব স্টুডিওতে বসে তাঁর বক্তব্যে বললেন, তাঁর কাজ মুলত দেশের মানুষের ও দশের সেবা করা। সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষের পাশে থেকে তাঁকে জীবনের মূল স্রোতে ফিরিয়ে দেওয়াই হলো অলিদার মুল উদ্দেশ্য। তিনি প্রচার সম্পর্কে বলতে গিয়ে আরও বললেন যে, কোনো গাছের ডাল মরে বা শুকিয়ে গেলে যেমন গাছ নষ্ট হয়না, ঠিক তেমনই তৃণমূলকে কেউ নষ্ট করতে চাইলেও তৃণমূল কংগ্রেস এতো সহজে নষ্ট হয়ে যাবে না। তাঁর বক্তব্য অনুযায়ী, তৃণমূল কংগ্রেস, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেমন সবসময় মানুষের পাশে মানুষের সেবায় ছিলেন, আছেন আর থাকবেন।এদিন মঞ্চে বক্তব্য রাখলেন স্বয়ং লোকসভা নির্বাচনের প্রার্থী অধ্যাপক সৌগত রায়। তিনি বললেন, দমদম এলাকার সব বাদ শুধু ২ নং আর ১ নং এলাকায় কোনো দিন জিততে পারিনি আমি। কিন্তু সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে আগামী দিনে ২ নম্বর আর ১ নম্বর ওয়ার্ডেও জিতবেন বলেই আশা করছেন। তিনি তার বক্তব্যে আরও বলেন যে, ২০০৯ সালে প্রথমবার জিতেছিলেন অধ্যাপক সৌগত রায়। তারপর তার ২ বছরের মধ্যে বিধানসভায় জিতলেন ব্রাত্য বসু। ২০১৪ তে লোকসভায় আবারও সৌগত রায়। ২০১৫ তে দক্ষিন দমদম পৌরসভা দখল করলেন তিনি। কিন্তু ২০১৬ তে বিধানসভা জিতলেন ব্রাত্য বসু।এদিন অধ্যাপক সৌগত রায় দমদম লোকসভা এলাকার মানুষের কাছে তাঁর কৃতজ্ঞতা স্বীকার করলেন অকপটে। তবে তিনি আশা করছেন পরিশ্রম ও উন্নয়ন করে আর বাকি দু একটা ওয়ার্ডে সফল্য অর্জন করবেনই।।তিনি বললেন ভুল রাজনিতি করার জন্য নিজেদের গাড্ডায় ফেলেছেন CPIM, যার জেরেই তারা কোনো চ্যালেন্জ নিচ্ছে না বা দিচ্ছেন না বলে দাবি করছেন অধ্যাপক সৌগত রায়। ইতিমধ্যে CPIM এর তাবড়-তাবড় কর্মকর্তারা ও সমর্থন কারিরা তৃণমূলে যোগদান করেছেন। তিনি বললেন সবচেয়ে সাহসের সাথে বিজেপির মাঝে লড়ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। তাই আজকে তাদের লড়াইটা হলো যে বিজেপির সাথে। বিজেপিকে অত্যাচারী, সৈরাচারি বলে দাবি করলেন অধ্যাপক সৌগত রায়।