তিন বছরেই ঝাঁ-চকচকে পুরসভার ১৮ টি ওয়ার্ড সহ গঙ্গারামপুর শহর
HnExpress পল মৈত্র, দক্ষিন দিনাজপুর ঃ পুরসভায় ক্ষমতায় ছিল বামেরা আর সেমসময় পুরবাসী বা পুরএলাকার কোন রকম কাজই করেননি তাঁরা। তারই একডালি অভিযোগ ছিল আজ থেকে ঠিক তিন বছর আগে। তখন গঙ্গারামপুর পুরসভায় ক্ষমতায় আসে তৃণমূল কংগ্রেস, এরপরই নতুন সাজে এখনো সাজছে দক্ষিন দিনাজপুর এর গঙ্গারামপুর পুরসভা এলাকা। বাম আমলে অভিযোগ ছিল বিস্তর।
পুরসভার ১৮ টি ওয়ার্ডেই তৈরি হয়েছে পাকা রাস্তাঘাট, জলনিকাশি ব্যবস্থা বিভিন্ন সৌন্দর্যায়নের কাজও করেছে ও করছে পুরসভা। সবমিলিয়ে নতুন চেহারায় ধরা দিয়েছে গঙ্গারামপুর শহর। ১৯৯৩ সালে দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুর পঞ্চায়েতের কয়েকটি মৌজা নিয়ে তৈরি হয়েছিল গঙ্গারামপুর পুরসভা। এরপর দীর্ঘ ২১ বছর ক্ষমতায় ছিল বামফ্রন্ট সরকার। একাধিক উন্নত পরিষেবা ও স্বাচ্ছন্দ্য দেওয়ার আশ্বাস পেয়েছিলেন পুরনাগরিকরা। তবে তার কোনওটারই বাস্তবায়ন হয়নি।
২০১৫ সালে পুরসভা দখল করে তৃণমূল কংগ্রেস। পুরনাগরিকদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে উন্নয়নের লক্ষ্যে ঝাঁপিয়ে পড়ে নতুন সরকার। দীর্ঘ ২১ বছরে বামেরা যা করতে পারেনি, মাত্র তিন বছরেই তা করে দেখিয়েছেন বর্তমান রাজ্য সরকার। পুরসভার ১৮ টি ওয়ার্ডে পানীয় জল, নিকাশিব্যবস্থা, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় পাকা বাড়ি, পাকা রাস্তাঘাট, ভেপার আলো, রাস্তায় রাস্তায় হাই মাস্ট আলো, গোয়াল খাঁড়ি শশ্মানে বৈদ্যুতিক চুল্লি, অত্যাধুনিক স্টেডিয়াম, বিশ্ববাংলা প্রতীকী তোরণ, ফোয়ারা, খেয়াঘাটের জন্য বাঁধানো সিঁড়ি তৈরি, আরো অনেক কিছুর কাজ চলছে। পুরসভার নানান উন্নয়নমূলক কাজে খুশি হয়ে মুখে হাসি ফুটেছে গঙ্গারামপুরবাসীদের।
উন্নত ও আধুনিক বিভিন্ন পরিষেবা পাচ্ছেন মানুষ। গঙ্গারামপুরের কালদিঘিরও সৌন্দর্যায়ন করা হয়েছে। কালদিঘির পাড়ে সাড়ে তিন কিলোমিটার রাস্তায় টয়ট্রেনের মত ট্রেনও চলবে। এই পার্কে থাকা টুরিস্ট লজটিরও সংস্কার করেছে পুরসভা। এছাড়াও ঐতিহাসিক বানগড়কেও নতুন করে সাজানো হচ্ছে। সব মিলিয়ে নতুন চেহারায় ধরা দিয়েছে গঙ্গারামপুর পুরসভা এলাকা, এর সাথে আরও হয়েছে আধুনিক ও ঝাঁ-চকচকে। গঙ্গারামপুর পুরসভার উদ্যোগে ও বর্তমান(তৃণমূলের) পুরসভার পুরপ্রধান প্রশান্ত মিত্রের একান্ত প্রচেষ্টায় ও উন্নয়নের ধারায় তিন বছরে নানান উন্নয়নমূলক কাজ ও এতকিছু পেয়ে বেজায় খুশি এই জেলার এলাকাবাসীরা। অন্যদিকে পুরসভার পুরপ্রধান প্রশান্ত মিত্রের এহেন উদ্যোগে ও উন্নয়নমূলক কাজে জেলার বিভিন্ন মহলের একাংশরা সাধুবাদ জানিয়েছেন।