বিশেষ প্রতিবেদন : চল যাই বাংলার নকশীকাঁথার দেশে
HnExpress সম্রাট গুপ্ত, কলকাতা : বোলপুর লায়েক বাজারের মফুজা বিবি, বসিরহাটের সাহিদা বেগম, নদিয়ার পার্বতী আচার্য— নিছক তিন মহিলা নন। ওঁদের আর একটা পরিচয়— কাঁথা নিয়ে তিন জনই ভাবনাচিন্তা করেন। ওঁরা ওঁদের পসরা নিয়ে চলে এসেছেন কলকাতায়। রাজ্য সরকারের উদ্যোগে শুরু এক অভিনব মেলায়। কারও কাঁথার ওপর আদিম থেকে সভ্য মানুষ হওয়ার বিভিন্ন পর্যায়ের নকশা। কারও কাঁথায় নকশা করে বিভিন্ন গল্প ফুটিয়ে তোলা। কারও বা নিছকই নানা ফুল আর প্রকৃতি ফুটে উঠেছে কাঁথার বয়নশিল্পে।
বাংলার ঐতিহ্য ও পরম্পরার অন্যতম নিদর্শন কাঁথা অনেকে দেখেছেন ঠাকুরপুকুরে গুরুসদয় দত্ত সংগ্রহশালায়। নানা ধরনের কাঁথায় সূক্ষ সেলাইয়ের মাধ্যমে অনবদ্য রূপ। মা ঠাকুমার মুখে গল্প শোনা সেই নকশিকাঁথা আগ্রহীরা রাজ্যের তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের কল্যানে দেখার সুযোগ পাবেন এই মেলায়।
শুধু কাঁথা নয় রয়েছে বিভিন্ন কাঁথা স্টিচের শাড়ি, কুর্তি, দোপাট্টা, পাঞ্জাবী। শিল্পীরা জানান, বিভিন্ন হস্তশিল্প মেলায় তাঁরা এই সম্ভার নিয়ে যান। বিভিন্ন রাজ্যে ছড়িয়েঠ আছেন তাঁদের ক্রেতারা। কারও তত্ত্বাবধানে কাজ করে ১০০০ জন তো কারও বা ১২০০ জন।
হুগলির কোন্নগর থেকে আসা শিল্পী পরাগ বসু আজানান, কমপক্ষে ৮মাস লাগে একটি কাঁথা বানাতে। অনেকে ঘর সাজাতে সংগ্রহ করেন হরেক কিসিমের কাঁথা।
শুক্রবার অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নকশিকাঁথার গবেষক রুনু সামন্ত, অনুষ্ঠানের অন্যতম আয়োজক মধুছন্দা সেন প্রমুখ। রবীন্দ্র সদনের লাগোয়া গগনেন্দ্র প্রদর্শশালায় এই প্রদর্শনী চলবে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। দুপুর ২টো থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত থাকবে প্রবেশাধিকার।