চলছিল লুকিয়ে চুরিয়ে নিষিদ্ধ মাদকের রমরমা কারবার, ১০ বছরের সাজা মা আর ছেলের


HnExpress ৫ই মার্চ, ওয়েবডেক্স নিউজ, কলকাতা ঃ ২০১৫ সালের ঘটনা। গোপন সোর্স মারফত খবর এসেছিল কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা দপ্তরের নার্কোটিক সেলে। বহুদিন ধরেই বেহালার একটি বাড়িতে চলছিল লুকিয়ে চুরিয়ে গোপনে নিষিদ্ধ মাদকের রমরমা কারবার, মা ও ছেলের যৌথ যোগসাজশে। খবর পেয়েই সেই ডেরায় তল্লাশি চালায় নার্কোটিক সেলের বিশেষ টিম।

বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় ২ কেজি ৫০০ গ্রাম ওজনের নিষিদ্ধ মাদক। যার বাজার চলতি নাম চরস। আর সেই ডেরা থেকেই গ্রেপ্তার করা হয় মা দীপ্তি দাস আর তার ছেলে বাপন দাসকে। মা আর ছেলে মিলে বেশ কিছুদিন ধরেই গোপনে এই মাদকের কারবার চালাচ্ছিল। বাইরে থেকে বোঝার উপায়টিও ছিল না। ধীরে ধীরে জমেও উঠছিল যৌথ কারবার। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি।

দীপ্তি এবং বাপনের বিরুদ্ধে এনডিপিএস আইনে (Narcotic Drugs and Psychotropic Substances Act) মামলা রুজু করা হয়। বাজেয়াপ্ত করা নিষিদ্ধ মাদকের কেমিক্যাল রিপোর্ট-সহ চার্জশিট জমা দেওয়া হয় যথাসময়েই। সেই মামলারই রায় বেরিয়েছে আজ। দীপ্তি এবং বাপনের ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন মাননীয় বিচারক।

সঙ্গে মাথাপিছু ১ লক্ষ টাকা জরিমানা। জরিমানা অনাদায়ে সশ্রম কারাদণ্ডের মেয়াদ বাড়বে আরও এক বছর। আর এই কেসের তদন্তকারী অফিসার ছিলেন নার্কোটিক সেলের তৎকালীন সাব ইনস্পেকটর অমিত কুমার চ্যাটার্জি। যিনি বর্তমানে চিৎপুর থানায় কর্মরত।
