গঙ্গাতীরে অন্য এক পরীক্ষা স্কাউটদের
HnExpress সম্রাট গুপ্ত, কলকাতা : গঙ্গার তীর ধরে হাঁটল প্রায় ১১০ জন। না, কেবল প্রকৃতি-পরিবেশ পর্যবেক্ষণে নয়। যাত্রাপথের মানচিত্র আঁকল ওরা। নিছক শখ নয়, রীতিমত পরীক্ষার অংশ।
অভিনব এই পাঠ্যক্রম স্কাউটিংয়ের। রবিবার সাতসকালে স্কাউটিংয়ের এই শিক্ষার্থীরা সমবেত হল শ্রীরামকৃষ্ণ শ্মশাণঘাটের পাশে দশ মহাবিদ্যামন্দিরে। রতনবাবুর ঘাটের কাছে সেই মন্দির, যেখানে আছে দেবী দূর্গার দশ মূর্তি। শ্রীরামকৃষ্ণ-স্বামী বিবেকানন্দর স্মৃতিধন্য ওই জায়গা শ্রী শ্রী দশমহাবিদ্যামাতা শ্রী শ্রী অনাদীশ্বর মহাদেব মন্দিরের সামনে থেকে রবিবার শুরু হল স্কাউট অভিযান।
গোটা প্রক্রিয়ায় দায়িত্বে ছিলেন স্কাউটিংয়ের ‘উত্তর কলকাতা জেলা‘-র চিফ কমিশনার সমর মুখোপাধ্যায়। তিনি জানান, “শিক্ষার্থীরা প্রায় সওয়া দু’ঘন্টা হেঁটে গঙ্গা অতিক্রম করে যায় বালি হল্ট পর্যন্ত। এই যাত্রা, পর্যবেক্ষণ, ওপারে গিয়ে শিবিরে বসে মানচিত্র অঙ্কন— প্রতিটির ওপর আছে পৃথক নম্বর।“
এ রাজ্যের স্কাউটিং দেখভালের দায়িত্বে আছেন রাজ্যপাল। তাঁর ‘গাইড’-এর মত জাতীয় স্তরে আছে রাষ্ট্রপতির ‘গাইড’। এ কথা জানিয়ে সমরবাবু বলেন, মাঝে স্কাউটিংয়ে আগ্রহীর সংখ্যা কমে গেলেও এখন আবার বেড়েছে। রাজ্য জুড়ে আছে ১৮টি স্কাউট জেলা বা ডিস্ট্রিক্ট। এর মধ্যে অতি গুরুত্বপূর্ণ এই উত্তর কলকাতা জেলা। শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে নির্দিষ্ট পাঠ্যক্রম। তিন বছরের মধ্যে তা শেষ করতে হবে।
বছর ছয় আগে কলকাতা পুরসভা থেকে ডেপুটি ম্যানেজার হিসাবে অবসর নেওয়ার পর এই স্কাউটিং নিয়েই মেতে আছেন সমরবাবু। তৈরি করেছেন নিজের একটি পৃথক স্কাউট গোষ্ঠী। আধ্যাত্মিক এবং ধর্মীয় জগতেও বিশেষ পরিচিতি আছে গ্রহের বিচারক হিসাবে।
স্কাউট-আন্দোলনের সঙ্গে জড়িয়ে আছেন এ শহরের এ রকম নানা পেশার, নানা বয়সের মানুষ। এ রকমই একজন দেবাশিস সুর। তিনি এই ‘উত্তর কলকাতা জেলা‘-র কমিশনারের দায়িত্বে। এ দিনের অনুষ্ঠানে তিনি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেন। গোটা বিষয়টির সঙ্গে নানা ভাবে যুক্ত সমাজের বিভিন্ন স্তরের, বিভিন্ন পেশার লোক। লক্ষ্য একটাই— নবীন প্রজন্মকে সুনাগরিক করে তোলা।
এ দিন আয়োজিত স্কাউট গাইডের ব্যাজ ওয়ার্ক ‘হাইক’। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উত্তর কলকাতা ভারত স্কাউট এবং গাইড অ্যাসোশিয়েশন এর ডিস্ট্রিক্ট সেক্রেটারি সমর মিস্ত্রি, ডিস্ট্রিক্ট অর্গানাইসিং কমিশনার স্কাউট রতন দেব, প্রাক্তন ডিস্ট্রিক্ট সেক্রেটারি সুমিত কুন্ডু এবং জেলার সহ সভাপতি সমর শংকর দে।