অটো ও টোটোচালকদের সংঘর্ষ এর খবর করতে গিয়ে আক্রান্ত সংবাদকর্মী, খিদের রাজ্যে বীজপুর টোটোময়
HnExpress দেবাশিস রায়, কাঁচরাপাড়া : রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের মতো বীজপুরেও বেড়ে চলেছে টোটোর রাজত্ব। বছর কয়েক আগে একটা সময় ছিল যখন অটো চালকদের দৌরাত্ম্যে প্রাণ ওষ্ঠাগত হয়ে উঠেছিল এলাকার মানুষের। এখন সেই জায়গার দখল নিয়েছে টোটো। মাঝখান থেকে না খেতে পেয়ে মরছে রিকশা চালকেরা। সারা বীজপুর খুঁজলে এখন হাতে গোনা কয়েকটি রিকশার দেখা মিলবে। বর্তমান আর্থ-সামাজিক পরিস্থিতিতে লাখ খানেক টাকা থাকলেই টোটোর মালিক হওয়া যায়। আর এতেই বিপত্তি।
ইতিমধ্যে কাঁচরাপাড়া পুরসভাও বেশকিছু টোটো দান করেছেন আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষদের। আম আদমিও তাই নেমে পড়েছে টোটো নিয়ে। পরিমাণের তুলনায় টোটো এখন মাত্রাতিরিক্ত হয়ে উঠেছে। এমনও দেখা যায়, স্থানীয় রেল কারখানায় কর্মরত বাবা তাঁর সন্তানকে বেরোজগার থেকে মুক্তি দিতে পিএফ থেকে লোন নিয়েও টোটো কিনছেন। এমনকি রেলের চাকরি থেকে রিটায়ার্ড করে কিনে নিয়েছেন একাধিক টোটো। যার দরুন মানুষের চাহিদার তুলনায় টোটোর পরিমাণ ক্রমেই বেড়ে চলেছে। আয় কমতে শুরু করছে অটো চালকদের। আর রিকশার পরিবর্তে এই টোটোর দৌরাত্মে নাজেহাল বীজপুরবাসী। সন্ধের সময় হাঁটাচলাই দায় হয়ে ওঠে স্টেশন ও গান্ধীমোর চত্বরে। এরই মধ্যে অটো চালকরা স্টেশন এলাকায় ঢুকতে বাধা দেয় টোটোচালকদের। এমনকি যাত্রীদেরও টোটো থেকে নামিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। আর এতেই ফুঁসছিল টোটোর চালকেরা। যার বহির্প্রকাশ ঘটে গতকাল ২৩ আগস্ট, বৃহস্পতিবার। অটো ও টোটোচালকরা বচসার থেকে জড়িয়ে পড়েন হাতাহাতিতে, কাঁচরাপাড়া মিলননগর এলাকায়। যার দরুন বন্ধ হয়ে যায় সব যান চলাচল, পাল্টা অবরোধে। এতে দুতরফেরই বেশ কয়েকজন আহত হন। এই খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে আক্রান্ত হন স্থানীয় একটি সংবাদপত্রের সম্পাদক স্বপন দাস। বীজপুর থানার পুলিশ এসে পরিবেশ শান্ত করে। রাতে অটো ও টোটো চালকদের নেতাদের থানায় ডেকে পাঠানো হয় আলোচনার জন্য। বিশেষ সূত্রের খবর, কোনও সমাধান সূত্র মেলেনি।
আগামীদিনে এই সমস্যা ভয়াবহ আকার নিতে পারে বলেই শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষদের ধারণা।