কলকাতা প্রেস ক্লাবের ‘ফানি গেমস’
HnExpress অশোক সেনগুপ্ত, ২১ ডিসেম্বর, কলকাতা ঃ শহরজুড়ে প্রস্তুতি, সন্ধ্যায় পার্ক স্ট্রিটে বড়দিনের উৎসবের উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর প্রেস ক্লাব, কলকাতায় সকাল থেকে ব্যস্ততা মজার একটা খেলাকে কেন্দ্র করে। অন্য কোথাও নেই এই নিয়মের ‘সিঙ্গল উইকেট ক্রিকেট‘।
মোট ৩২ জন সাংবাদিক-আলোকচিত্রী অংশ নেয় এই খেলায়। এক সঙ্গে ফিল্ডিং কাটতে পারলেন সর্বোচ্চ সাত জন। এঁদের অনেকেই খুদে বা হবু ক্রিকেটার। ওঁদের উদ্দেশ্য করে প্রাক্তন ক্রিকেট তারকা রাজু মুখার্জি বললেন, “এই যে প্রেস ক্লাবের লোগো-সহ গেঞ্জি পড়ে তোমরা নেমেছ, নিজেদের ভাগ্যবান বলে মনে করবে। এই লোগোর একটা বিশেষ মর্যাদা আছে।“ গত বছরের মত এবারেও রাজুবাবু এসেছিলেন ক্যালকাটা রেফারিস অ্যাসোসিয়েশন এর (সিআরএ) মাঠে এই মজার খেলার (ওঁর কথায় ফানি গেমস) উদ্বোধন করতে।
কেন মজার খেলা, নিয়মকানুন জানিয়ে তা ব্যাখ্যা করেন আন্তর্জাতিক আম্পায়ার গৌতম রায়। তিনিও গত বছরের মত এবার প্রতিযোগিতা পরিচালনার দায়িত্ব নিয়েছিলেন। নিয়মগুলি হল— ১) ১২ বল করে (একটা ‘নো’ এবং একটা ‘ওয়াইড’ ফ্রি সহ) খেলার সুযোগ পাবেন প্রতি ব্যাটসম্যান, ২) বল করার সময় বোলারের হাত কখনও কানের পিছনে যাবে না। ৩) এর মধ্যে প্রতিটি আউটের জন্য ব্যাটসম্যানের ৫ রান বাদ যাবে। ৪) বোলারের একটা ‘নো’ এবং একটা ‘ওয়াইড’ ফ্রি। এটা অতিক্রম করলেই তাঁর জরিমানা হিসাবে ৩ রান করে যোগ হবে ব্যাটসম্যানের ঝুলিতে।
এ সব ছাড়াও নানা মজার নিয়ম ছিল খেলায়। মাঠের চার পাশে ফুট পাঁচেক উঁচু মার্কিং রয়েছে। ব্যাটসম্যান এর ওপর দিয়ে বল মারলেই আউট। বাই ও লেগ বাই নেই। বোলারের শেষ বলটা ‘ফেয়ার বল’ বাধ্যতামূলক। ব্যাটসম্যান রান নেওয়ার সময় ফিল্ডার ক্রিজের দু’দিকের যে কোনও এক দিকের উইকেটে মারলেই হবে। গন্তব্যে পৌঁছোনোর আগে ফিল্ডারের নিক্ষিপ্ত বল যে কোনও উইকেটে লাগলেই আউট। দেখা গেল বোলার ব্যাট করতে নামছেন কেউ মাইনাস ৭-এ, কেউ মাইনাস ৯-এ।
মজার আর কী চাই বলুন? শ্যামল রায়, মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মত ৬৭-ঊর্ধ্বরা যদি ব্যাট হাতে তরুণ প্রতিদ্বন্দ্বীর সঙ্গে মোকাবিলায় নামেন, ধারাবিবরনীকারও বাড়তি আগ্রহ পান।