December 11, 2024

কলকাতা পুলিশের তৎপরতায় দ্রুত উদ্ধার হলো বাসে খোয়া যাওয়া যুবতীর ব্যাগ

0
Fb Img 1557234080945.jpg
Advertisements

HnExpress বিশেষ প্রতিবেদন ঃ ৫ই মে’র সকালের ঘটনা। ঘড়ির কাঁটায় তখন সাড়ে আটটা ছুঁইছুঁই। সেই সময় ঠাকুরপুকুর বাজারের কাছে কর্মরত ছিলেন ঠাকুরপুকুর ট্রাফিক গার্ডের সার্জেন্ট বিজয় বাগচী এবং কনস্টেবল অভিজিৎ চৌধুরী। হটাৎই তাঁদের কাছে এক যুবতী এসে জানান, তাঁর পিঠের ব্যাগ নাকি খোয়া গেছে ভিড় বাসে। সেই ব্যাগে মোবাইল ও টাকা ছাড়াও ছিল তাঁর উচ্চ মাধ্যমিকের মার্কশিট, অ্যাডমিট কার্ড-সহ সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ নথি।

যুবতীর নাম সুস্মিতা সামন্ত। বিষ্ণুপুরের সৈয়দপুর গ্রাম থেকে বাবা-মার সঙ্গে আসছিলেন সল্টলেকে একটি বেসরকারি চাকরির জন্য ইন্টারভিউ দিতে। ডায়মন্ড হারবার থেকে একটি বাসে উঠেছিলেন তাঁরা। ঠাকুরপুকুর বাজারে নেমে ফের বাস বদলে যাওয়ার কথা সল্টলেক। বাসে ভিড় ছিল বেশ। ঠাকুরপুকুর বাজারে কোনোমতে ভিড় ঠেলে বাস থেকে নামতে পারলেও ধাক্কাধাক্কিতে সুস্মিতার পিঠের ব্যাগটি খুলে পড়ে যায় বাসের ভিতরেই। এদিকে নামতে না নামতেই ছেড়ে দেয় বাস। এরপরই, সার্জেন্ট বিজয় বাগচীকে এসে ওই বাসের রেজিস্ট্রেশন নম্বর-সহ গোটা ঘটনাটি জানায় সুস্মিতা। ব্যাগের ভিতরেই সমস্ত নথি। এদিকে কিছুক্ষণের মধ্যেই ইন্টারভিউ শুরু। দৃশ্যতই খুব আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন সুস্মিতা ও তার পরিবার।

অন্যদিকে সার্জেন্ট বিজয় বাগচী তড়িঘড়ি বিষয়টি জানান ঠাকুরপুকুর ট্রাফিক গার্ডকে। অভিযোগ পাওয়ার পরই ঠাকুরপুকুর ট্রাফিক গার্ড লালবাজার ট্রাফিক কন্ট্রোলের সঙ্গে দ্রুত যোগাযোগ করে। খবর পাঠানো হয় ডায়মন্ড হারবার ট্রাফিক গার্ডেও। দেখামাত্রই বাসটিকে থামানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। কিছুক্ষণের মধ্যেই ১৪ নম্বর বাস স্টপের সামনে বাসটিকে দেখতে পেয়ে দাঁড় করান কনস্টেবল অরূপ দে।

খবর পেয়ে সুস্মিতা ও তাঁর বাবা-মাকে সঙ্গে নিয়ে দ্রুত ১৪ নম্বর বাস স্টপে পৌঁছন ট্রাফিক সার্জেন্ট বিজয় বাগচী। বাসের ভিতর থেকে উদ্ধার হয় সেই পিঠের ব্যাগটি। আনন্দের বিষয় হলো ব্যাগ থেকে খোয়া যায়নি কিছুই। এবং সেদিন ইন্টারভিউ দেওয়ার জন্য সল্টলেকের অফিসে যথাসময়েই পৌঁছাতে পেরে ছিলেন সুস্মিতা।

ছবি রইল সার্জেন্ট বিজয় বাগচী, খোয়া যাওয়া সেই ব্যাগ এবং সুস্মিতার।

ছবি ও তথ্যসূত্র ঃ কলকাতা পুলিশের  সোস্যাল মিডিয়া সৌজন্যে

Advertisements

Leave a Reply