কবিতার জন্য সারাটা দিন
HnExpress দেবাশিস রায়, নৈহাটি : শুধুমাত্র কবিতার জন্য সারাটা দিন। তাও আবার কলকাতা নামক শহর থেকে এতোদূরে! একটা অভাবনীয় ঘটনাই বটে। হ্যাঁ তেমনটাই করে দেখাল আবৃত্তিমেলা শ্রুতিচর্চা কেন্দ্র। নৈহাটির ঐকতান মন্চে ৩০ সেপ্টেম্বর, রবিবার আবৃত্তিমেলা আয়োজন করেছিল শ্রুতি উৎসব ২০১৮। এটা আবৃত্তিমেলার ৩৭তম বর্ষের নিবেদন। অংশ নেয় শ্রুতিচর্চা কেন্দ্রে প্রায় সাড়ে তিনশো ছাত্রছাত্রী। আট থেকে আশি বিভিন্ন বয়সের ছাত্রছাত্রীর সমবেত কণ্ঠে কবিতা পাঠের মধ্যে দিয়ে চল এই শ্রুতি উৎসব।
উৎসবের সূচনা হয় সকাল ১০টায়। অনুষ্ঠানটি ভাগ করা হয়েছিল তিনটি পর্বে। প্রথম পর্বে কবি যোগীন্দ্রনাথ সরকার ও রবীন্দ্রনাথের রচনা নিয়ে গড়া সমবেত পাঠের মাধ্যমে। দ্বিতীয় পর্ব শুরু হয় দুপুর দেড়টায় এবং তৃতীয় পর্ব বিকেল ৫টায়।
প্রতিটি পর্বেই প্রবীণ-নবীন কবির কবিতা একক ও সমবেতভাবে পাঠ করেন আবৃত্তিমেলার ছাত্রছাত্রীরা। শুধু ছাত্রছাত্রীরাই নয়, এদিন কবিতা পাঠে অংশ নেন বেশকিছু কবি স্বয়ং। ছিলেন কয়েকজন আমন্ত্রিত শিল্পীও। এদিন মন্চ কবিতা পাঠ করেন চৈতালি দরিপা, শ্যামাপ্রসাদ ঘোষ, মৃণাল রায়, চন্দন নাথ, রন্জন চক্রবর্তী ও তমাল সাহা। অতিথিদের সংস্থার পক্ষ থেকে স্মারক ও পুষ্পস্তবক দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়। এরই পাশাপাশি বেশকিছু ছাত্রছাত্রীকেও সম্মানিত করা হয় রাজ্য, জাতীয় তথা সার্ক উৎসবে স্থানাধিকার করার জন্য।
সম্পূর্ণ অনুষ্ঠানটির ভাবনা ও পরিচালনা মধুসূদন মণ্ডলের।এছাড়াও অলঙ্করণে দীপ্তেশ্বর মণ্ডল, আলোয় তাপস মোদক এবং আবহে অভিজিৎ পাল, দুর্জয় চক্রবর্তী, সৌম্যদীপ ভদ্র ও সৌমেন বিশ্বাসের স্বক্ষেত্রের মুন্সিয়ানায় উজ্জ্বল হয়ে ওঠে আবৃত্তিমেলার শ্রুতি উৎসব। যা কলকাতাকেও ভাবিয়ে তুলবে সন্দেহ নেই।
একটি দুরূহ প্রচেষ্টায় কলকাতা থেকে এতদূরে এমন আয়োজন খুব সম্ভবত কলকাতাও দেখেনি । এটা মধুসূদনবাবুই করে দেখালেন । এগিয়ে চলুক আবৃত্তিমেলা । ব্যারাকপুর মহকুমার গর্বের বিষয় হয়ে রইলো এই অনুষ্ঠান ।