December 13, 2024

এলাকায় অবৈধ ভাবে চলছে গ্যাস রিফিলিং

0
Img 20190402 Wa0036.jpg
Advertisements

HnExpress পল মৈত্র, দক্ষিন দিনাজপুর ঃ কার্যত প্রশাসনকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে দক্ষিন দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন জায়গায় অলিগলিতে মুড়ি মুড়কির ন্যায় অবৈধ ভাবে চলছে গ্যাস রিফিলিংয়ের কাজ। পাড়ার মুদির দোকান ও অনেক বসতবাড়িতেও অনিয়ন্ত্রিত ভাবে গ্যাস ভর্তির কাজ হচ্ছে। এইসব পাড়া বা দোকানের সামনে দিয়ে গেলে গ্যাসের তীব্র গন্ধ পাওয়া যায় সবসময়। আর তা থেকেই যখন তখন ঘটতে পারে মারাত্মক ও ভয়াবহ দূর্ঘটনা।

তাছাড়াও একটি বিশেষ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই অসাধু ব্যবসায়ীরা গ্যাস খোলা বাজারে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা কেজি দরে ব্ল্যাকে বিক্রি করে। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক গ্যাস ব্যবসায়ী বললেন, ‘বাজারে এই গ্যাসের চাহিদা প্রচুর। আমাদের দোষ দিয়ে লাভ কি, খরিদ্দার চায় তাই আমরা বিক্রি করি। বাড়ির গ্যাস শেষ হয়ে গেলে সময় মতো বুকিং করে পাওয়া যায় না, তখন তারা বাজারের এই খোলা গ্যাসের উপরই নির্ভরশীল। জানি কাজটা অবৈধ ও মারাত্মক, কিন্তু কি করবো পেট তো চালাতে হবে।’

প্রসঙ্গত, বুনিয়াদপুর গঙ্গারামপুরে বিভিন্ন পাড়ার দোকান গুলিতে উঁকি দিলেই দেখতে পাওয়া যায় গ্যাস ভর্তির কাজ চলছে। তবে এসব কিছুই প্রশাসনের নাকের ডগায় ঘটে চলেছে প্রতিদিন, প্রতিনিয়ত। তবুও তাদের এই ব্যাপারে নেই কোনও হেলদোল, নেই কোনো ভ্রুক্ষেপ। এক নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে আজকের প্রশাসন। পরিবেশবিদ বিশ্বপ্রীয় সাহা বললেন, ‘অনিয়ন্ত্রিত ও অবৈধভাবে গ্যাস ভর্তির কাজটা যেমন খুব ঝুঁকির তেমনি এটা বেআইনি কাজও বটে। জানিনা প্রশাসন সব জেনেও চুপ কেন আজও?

তবে অতি স্বত্তর এই বেআইনি গ্যাস ভর্তির কাজ গুলিকে প্রশাসনের বন্ধ করা দরকার। এটাও ঠিক যারা একাজ করছেন তারা হয়ে তো শুধুমাত্র পেটের দায়েই এটা করছেন। বর্তমানে বাজারের জিনিষের দাম অগ্নিমূল্য হওয়াতে সংসার চালাতেও হিমশিম খাচ্ছেন অনেকেই, তাই তারা অধিক মুনাফা লাভের আশায় এই কাজ করছেন। আসলে সর্বোপরি সরকারকে অর্থনৈতীক ব্যবস্থা ও দ্রব্যমুল্যের সঠিক ভাবে নিয়ন্ত্রন করা দরকার।’

Advertisements

Leave a Reply