এক বাসযাত্রীর কলমে!

HnExpress খেয়ালিপনা, দিব্যেন্দু ঘোষ ঃ
পথময় ছড়িয়ে নিস্তব্ধ দুপুর। পিচকালো রাস্তায় শত গাড়ির পা না পড়ার স্তব্ধতা।
ঝিরিঝিরি বর্ষণে হাসনুহানার গন্ধ।
অনভ্যস্ত যুগল-প্রেমে ভিক্টোরিয়া কল্লোলিত।
প্রেমিকার কোমরবন্ধে নাভিরঙা আলো।
বেষ্টনীতে তীব্র মাদকময়তা। কপালে আলতো ছড়িয়ে থাকা অলক প্রেমিকাকে আরও নিভৃত সঙ্গী করে তোলে।
এক্সাইডের অভ্যস্ত বাঁকে হলদিরামের প্রকোষ্ঠে প্রথম কফি।
স্খলিত আঁচল বেয়ে গমরঙা উষ্ণতা।
এসি বাসের ঘামে-ভেজা জানলার কাচে চোখ ছাড়িয়ে উড়ালপুলের ছায়া।
দাদা, সেভেন পয়েন্ট এল কি?
আচম্বিত প্রশ্নজালে বিরল রোদের আভা।
এখনও খোলা রাস্তা, হয়ত বন্ধ হবে একটু পর।
পার্ক সার্কাস ইস্টিশনের মাথায় চড়ে হিরোগিরি আর কদ্দিন?
ব্রিজের বুকে মনখারাপের ফাটল।
আড়াআড়ি বিভক্ত তুমি, আর আমাদের বিজ্ঞানমনস্কতা।
ওই তো ঝিলের বুকে সায়েন্স সিটির গম্বুজ-ছায়া।
এ বাইপাসে কাটাছেঁড়ার অভিঘাত নেই।
মন্থর যান-শাসনে দুলে ওঠে নলবনের নৌকা।
ঘন নিঃশ্বাসে আদরের গন্ধ। আড়াল-ছায়ায় প্রেম বিলাসী অভিঘাত। সে নলবনের অবাধ বিচরণভূমি আজ অতীত। কত শত প্রেম ছিল। প্রেমের আবরণ ছিল।
রঙিন ছাতার ভিড় ছিল। ঠোঁটে ঠোঁট ছিল। কামনার রামধনু রং ছিল। নরম গ্রীবায় উত্তাপ ছিল। সে সব অতীতের তানপুরায় হর্ষ গলে গিয়েছে।
সাধের মেট্রোর সর্পিল গতিও ঢের দেরি।
তার আগেই প্রেমিকার বেষ্টন যেন অজগরকেও হার মানায়।
ঠোঁটে ঠোঁট রাখা অবকাশ আর হঠাৎ ব্যস্ত দুপুরের তাল কাটে পাশে এসে বসা ললনা,
একটু জানলার ধারটা দেবেন প্লিজ?
ঠোঁটে প্রশ্ন,
আমার চোখে বিরামহীন মুগ্ধতা।
তুমি এলে, তাই বুঝি অফিস-সফর এত অনায়াস, এত অলস-যাপন।
আসন বদলে হারিয়ে যাওয়ার ডাক ওই কর্পোরেট গলিতে বন্দি।
তুমি এলে তাই…বৃষ্টির আলতো ছাঁটে।
ক্রমশ………..