এক নজরে দেখে নিন, ২০১৭ সাল থেকে শুরু হওয়া স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পে কি কি সুবিধা থাকছে জনসাধারণের জন্য
HnExpress বিশেষ প্রতিবেদন, কলকাতা ঃ বাংলার মাটিতে সকলের জন্য চাই সুচিকৎসা। আর তাই বাংলার মা মমতাময়ী মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির মস্তিষ্কপ্রসূত এক জনহিতকর প্রকল্প এর সূচনা ঘটে বিগত ১লা জানুয়ারি ২০১৭ তে। সেইদিন থেকে শুরু হয় স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্প। বিগত ১ জানুয়ারি থেকে স্বাস্থ্য সাথী বিমা চালু হয়। এই বিমার জন্য স্বাস্থ্যদপ্তর একটি বিশেষ অ্যাপ তৈরি করেছে। একটি বড় বিদেশি সংস্থা সেই অ্যাপ তৈরি করেছে।
একটি বৈঠকে রাজ্য স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দপ্তরের ডেপুটি অধিকর্তা ডা: তুষার কান্তি পাল জানান এই বিমা সম্পর্কিত কিছু তথ্য। এক নজরে জেনে নিন,
কী কী থাকছে এই স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে ?
বছরে মোট সাড়ে ছয় লাখ টাকা পর্যন্ত স্বাস্থ্য বিমার সুবিধা থাকছে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে। আর এই বিমার আওতায় আসছে রাজ্যের সমস্ত সরকারি হাসপাতাল ও তার বড় বড় সরকারি ক্লিনিক। বিশেষ চমক হিসাবে রাজ্যের বেশ কিছু নার্সিংহোমকেও এর আওতায় আনা হবে। যেহেতু গোটা ব্যাপারটাই সংগঠিত হবে অ্যাপসের মাধ্যমে তাই দ্রুত বিমার টাকা পৌঁচ্ছে যাবে সরকারি হাসপাতালের অ্যাকাউন্টে।
স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্য সরকারের যে সমস্ত চুক্তি ভিত্তিক কর্মীরা আছে তাদেরও এই স্বাস্থ্য বিমার আওতায় আনা হবে। এর ফলে এই স্বাস্থ্য বিমার সুবিধা পাবেন স্বাস্থ্য দপ্তরের আশা কর্মী, অঙ্গনওয়ারি কর্মী, সিভিক পুলিশ, ভিলেজ পুলিশ, বিপর্যয় মোকাবিলা বিভাগ, হোমগার্ড, অর্থদপ্তরের চুক্তিবদ্ধ কর্মী, গ্রিন পুলিশ, সিভিল ডিফেন্স, NVF, ICDS, পৌরসভার অন্তর্গত স্বনির্ভর গোষ্ঠী, অসংগঠিত শ্রমিক সহ আরও অনেক বিভাগের কর্মীরা।
স্বাস্থ্যসাথী বিমার অন্তর্গতদের দেওয়া হবে স্মার্ট কার্ড। এই কার্ডের মেয়াদ ছয় মাস থেকে এক বছর। প্রতি বছর দেড় লাখ টাকা পর্যন্ত বিনামূল্যে সরকারি এবং বেসরকারি হাসপাতাল এবং নার্সিংহোমে চিকিৎসা মিলবে। অন্যদিকে ক্যান্সার, নিউরো সার্জারি, হৃদরোগজনিত অস্ত্রোপচার, লিভার সংক্রান্ত অসুখ এবং রক্তের সমস্যার চিকিৎসার জন্য এই প্রকল্পে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত সাহায্য পাওয়া যাবে।
এই প্রকল্পে স্বাস্থ্যসাথী স্মার্ট কার্ড পাওয়া যাবে সংশ্লিষ্ট পৌরসভা এবং গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে। হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফেরার সময় রোগীর যাতায়াত খরচ বাবদ ২০০ টাকা পাওয়া যাবে। স্বাস্থ্যসাথীর পরিবষেবা পেতে হলে হালপাতালে ভর্তি হতে হবে। না ভর্তি হলে অবশ্য এই পরিষেবা পাওয়া যাবে না।বর্তমানে স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পে বাংলার অধিকাংশ জনসাধারন অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।