December 13, 2024

পানিহাটির সমাবেশে “উনিশ বিজেপি ফিনিশ” -এর ডাক অভিষেকের

0
Logolicious 20181218 013847.jpg
Advertisements

HnExpress অলোক আচার্য্য, পানিহাটি ঃ ২০১৯ শেই নাকি বিজেপি ফিনিস। এমনটাই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এবারের শ্লোগান। ২০১৮ তেই ভোকাট্টা হয়ে গেছে অমিত শাহরা। এদিকে মোদি, অমিত শাহরা ভোকাটা, শনিতে রাহুর দশার সঙ্গে কেতুও নাকি গেছে ভোকাট্টা। আর অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রী যত বিরোধীতা করবে বিজেপি নাকি ততই বেশি মুখ থুবড়ে পড়বে। যত কুৎসা করবে তত বেশি উন্নয়ন হবে বাংলার, এমনটাই নাকি মত বাংলার যুবরাজ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এর। আগামী লোকসভা ভোটে তৃণমূল ৪২ এ ৪২, আর বিরোধীরা শূন্য। এটাই এখন চ্যালেঞ্জে।

বিজেপিকে উৎখাত করতে পানিহাটির এই বিশাল জন সমাবেশ থেকে অঙ্গীকার নিতে হবে সবাইকে। উত্তর ২৪ পরগনা জেলা তৃণমূল যুব কংগ্রেসের ডাকে ১৯ জানুয়ারি ঐতিহাসিক ব্রিগেড সভাকে সফল করার লক্ষ্যে পানিহাটি ঘোলা নেতাজি সঙ্গের খেলার মাঠে শনিবার দুপুরে প্রকাশ্য জনসভায় এই কথাগুলি বলেন, প্রধান বক্তা হিসেবে তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপিকে ভারত ছাড়া করতে ব্রিগেডে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা থেকে দশ লক্ষ লোকের জমায়েত হবে ১৯ জানুয়ারি বললেন সাংসদ অভিষেক, আর ব্রিগেড ভরিয়ে দেবে বলে আশাবাদি।

সাংসদ, মোদিকে কটাক্ষ করে বললেন, মোদি হিন্দু ধর্মের নামে বিভাজনের রাজনীতি করছে।জয় শ্রী রাম বলে মানুষকে বোকা বানাচ্ছে।মোদি বলছেন ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও। মোদির ঝড় শেষ। বিজেপি গণতন্ত্র বাঁচাও যাত্রা করছে।যখন গণতন্ত্র বিপন্ন ছিল তখন মোদি, অমিত, দিলীপরা কোথায় ছিল। চারটি রাজ্যের নির্বাচনে মোদি ধরাশাহী। বিজেপি এখন নিজেদের বাঁচাও যাত্রা করো। মোদি দিল্লি ছাড়া হয়ে গেছে। মমতা মানুষের আবেগে মিশে রয়েছে। জামানত বাজেয়াপ্ত হবে বিজেপির।

তিনি আরও বললেন যে, এই লোকসভা ভোটে একটা সিটেও জিততে পারবে না। প্রত্যেকটি লোকসভায় তৃণমুল প্রার্থীরা দুই থেকে আড়াই লক্ষ ভোট ব্যবধানে জিতবেন। নতুন ভারত গড়তে মুখ্যমন্ত্রীর হাতকে শক্তিশালী করতে দলীয় নেতাকর্মীদের মাঠে নেবে লড়তে হবে। অবিচল থেকে লড়াই করে যেতে হবে। বিগ্রেড সমাবেশকে ঐতিহাসিক সাক্ষী রাখতে ব্লকে ব্লকে, পাড়ায় পাড়ায়, মহল্লায় মহল্লায়, নেতাকর্মীদের প্রত্যেকটি বুথে, দেওয়াল লিখনে, সভায়,পথসভার উপর জোর দিতে হবে।জীবন দিয়ে বুথ গুলিকে ধরে রাখতে হবে।এটাই কর্মীদের দায়িত্ব। নতুন ও পুরোনোদের সংমিশ্রণে দলকে সঙ্ঘবদ্ধ করতে হবে।

তাঁর এদিনের বক্তব্য অনুযায়ী পুরানো কর্মীদের প্রতি দলের অধিকার আছে। পুরানোদের যোগ্য সম্মান দিতে হবে দলে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর এটাই নির্দেশ। মঞ্চে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, সাংসদ সৌগত রায়, ডক্টর কাকলি ঘোষ দস্তিদার, নির্মল ঘোষ প্রমুখ। এদিন সভা পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন উত্তর ২৪ পরগনার জেলা তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি তথা বিধায়ক পার্থ ভৌমিক। এদিনের সমাবেশে মাঠ কানায় কানায় ভর্তি হয়ে গিয়েছিল। মঞ্চ আলোকিত করে বসে ছিলেন শিক্ষা মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, ব্রাত বসু সহ একাধিক সাংসদ ও বিধায়করা।

Advertisements

Leave a Reply