ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে উঠচ্ছে বীজপুর-নৈহাটি অঞ্চল

HnExpress দেবাশিস রায়, কাঁচরাপাড়া : মুকুল রায় তৃণমূল কংগ্রেস ছাড়ার পর থেকে ক্রমেই উত্তপ্ত হচ্ছে বীজপুর-নৈহাটির রাজনীতি। স্বয়ং বীজপুরের বিধায়ক নিজে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন, এবং তিনি নিজেও বিভিন্ন সভায় তা বক্তব্যের মাধ্যমে ব্যক্ত করছেন। বর্তমানে বীজপুর প্রায় অভিভাবকহীন। যদিও নৈহাটি সেদিক থেকে একটু নিরাপদ তৃণমূলের কাছে। এই সুযোগকে কাজে লাগিয় একশ্রেণির তৃণমূলের কর্মী, যাঁরা একসময়ে বামঘেঁষা ছিলেন, তাঁরাই এখন ছড়ি ঘোরাচ্ছেন এলাকায়। দাপিয়ে বেরাচ্ছেন তোলাবাজির রাজনীতি করে!
এমনটা যে হতে চলেছে তা বেশ কয়েক মাস ধরে টের পাচ্ছেন এলাকার মানুষ। প্রথমে বচসা, তারপর হাতাহাতি, কাউন্সিলর নিগ্রহ। পরে বোমাবাজিতে সীমাবদ্ধ ছিল বীজপুরে তৃণমূলের রাজনৈতিক পরিমণ্ডল। যা আজ রূপান্তরিত হল খুনের রাজনীতিতে। গতকাল রাতে হালিশহর ছাইগাদা ময়দান এলাকায় খুন হলেন তৃণমূল কর্মী। মৃতের নাম রাজু বাল্মীকি(৪৫)। জানা গেছে, গুলি করে, মাথা থেঁতলে তাকে খুন করা হয়। সুত্রের খবর, এই মর্মে রাজুর পরিবার স্থানীয় নির্দল কাউন্সিলর তারক চৌধুরী, তৃণমূল কর্মী প্রদীপ পার্সি-সহ ৪জনের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছেন।
প্রসঙ্গত, গত ২০ এপ্রিল কাউন্সিলর তারক চৌধুরীকে আক্রমণ করে মৃত রাজু। তারকের মাথা ফেটে যায়। বর্তমানে তারক মাথার চিকিৎসার জন্য রাজ্যের বাইরে রয়েছেন। আরেক দিকে অভিযুক্ত প্রদীপ পার্সি রয়েছেন জেলবন্দী।