আবারও প্রবল ঝড়ের সম্ভবনা, ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কায় জারি হলো সতর্কতা
HnExpress ওয়েদার রিপোর্ট, রূপা বিশ্বাস ঃ রাজ্যে ফণীর রেশ কাটতে না কাটতেই আবার ধেয়ে আসতে চলেছে প্রবল ঝড়বৃষ্টি। সম্প্রতি বিধ্বংসী সাইক্লোন “ফণী”র হাত থেকে কোনক্রমে কলকাতা ও তৎসহ কয়েকটি জেলা রেহাই পেলেও, রেহাই পায়ে নি ওড়িশার উপকূলবর্তী এলাকাগুলি। প্রায় ১১টি জেলায় বিধ্বংসী তান্ডব চালায় ফণী। এখনো পুরোপুরি কেটে যায়নি তার রেশ। এদিকে আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, হিমাচল প্রদেশে দুর্যোগ ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে সবার আগে।
হাওয়া অফিস সুত্রের খবর, আগামী কয়েক দিনের ভিতর হতে পারে প্রবল ঝড়বৃষ্টি ও তার জেরে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, শুক্রবার রাজ্যের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের চেয়ে ৩ থেকে ৪ ডিগ্রি বেশি। সূত্রের খবর অনুযায়ী জানা যাচ্ছে, বর্তমানে হিমাচল প্রদেশে হলুদ আবহাওয়া জারি করা হয়েছে।
আবহবিদদের মতে, সাধারণত এই ধরনের আবহাওয়ার পরেই দুর্যোগের সুত্রপাত শুরু হয়। তারা অনুমান করছেন, সম্ভবত বজ্রগর্ভ মেঘের সঞ্চার হতে পারে বলে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই হিমাচল প্রদেশে প্রবল ঝড় বৃষ্টি ও সেই সাথে আশঙ্কা রয়েছে ভারী শিলাবৃষ্টিও। সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়ার প্রকোপ থাকারও সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এর ফলে বৃষ্টি হতে পারে দক্ষিণবঙ্গ সহ কলকাতা ও তার পার্শ্ববর্তী জেলা গুলিতেও। সাথে থাকচ্ছে প্রবল ঘুর্ণিঝড়।
তিমধ্যেই সিমলার আবহাওয়া দপ্তর আগাম ঝড়ের সতর্ক বার্তা জারি করে দিয়েছে। তবে এই ঝড় বৃষ্টির কারনে প্রচুর পরিমাণে ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত বেশ কয়েক বছর আগেও উত্তরাখণ্ডে ঠিক এমনই মেঘভাঙা বৃষ্টিতে প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল, আর তার জেরেই এবার এই আগাম সতর্ক বার্তা জারি করা হলো।গ্রীষ্মের তপ্ত দাবদাহে জ্বলছে বাংলা সহ দেশের অনেক গুলি রাজ্য ও তার মধ্যে বেশ কয়েকটি জেলা।
গতসপ্তাহে ওড়িশায় ফণীর তান্ডবের আগাম সতর্ক বার্তা জারি করা সত্বেও রোখা যায়নি ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি। ২৫০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের কারনে ব্যাপক ক্ষতি হয় ওড়িশার এগারোটি জেলায়। তার মধ্যে ভুবনেশ্বর ও পুরীও বাদ যায়নি।এত ঝড়-ঝাপটা, ক্ষয়ক্ষতির পরেও বর্তমানে ওড়িশার পরিবেশ অনেকটা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরছে। তবে ফের আগামী ঝড়বৃষ্টির আশঙ্কায় আবারও চিন্তিত সকলেই।