মধ্যমগ্রামে আটক করা হলো সরকারি ছাপ মারা বস্তা ভর্তি চাল, লকডাউনেও চলছে কালোবাজারি
HnExpress ২৫শে এপ্রিল, নিজস্ব প্রতিনিধি, মধ্যমগ্রাম ঃ মধ্যমগ্রামে আটক করা হলো সরকারি ছাপ মারা বস্তা ভর্তি চাল, লকডাউনেও চলছে কালোবাজারি। সারা দেশ তথা রাজ্য জুড়ে যখন করোনা মোকাবিলায় চলছে লকডাউন, ঠিক সেই সংকটময় পরিস্থিতিতেও রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় চলছে রেশন বা খাদ্য সামগ্রী নিয়ে কালোবাজারি। তেমনই এক ঘটনার সাক্ষী হলো উত্তর ২৪ পরগণা জেলার অন্তর্গত মধ্যমগ্রামের ৮নং ওয়ার্ডের বাসিন্দারা। আজ সকাল প্রায় সাড়ে ৮টা নাগাদ মধ্যমগ্রাম এরই ৮নং ওয়ার্ডের কিছু মানুষ “পশ্চিমবঙ্গ সরকার” মুদ্রিত ৪টি চালের বস্তা সহ একটি ভ্যান আটক করে ও তারই সাথে খোঁজ পাওয়া যায় চালের মূল গোডাউনের।
এবং আটক করার সাথে সাথেই তাঁরা খবর দেয় ৮নং এলাকারই প্রাক্তন কাউন্সিলর তথা সিপিএম নেতা ভাস্কর নায়েককে। এরপর অনেক খোঁজাখুঁজি করে এলাকার মানুষই আবিষ্কার করেন ৭নং ওয়ার্ডের সরৎ কাননে সেই সরকারি মুদ্রিত চালের বস্তা সহ পুরো বেসরকারি গোডাউনটি। সুত্রের খবর, সেই গোডাউনে আরও ৫০টিরও বেশি একই চালের বস্তা পাওয়া যায়। গোডাউনটি পাওয়ার পরেই এলাকার মানুষ বিক্ষোভে ফেঁটে পরে। পুলিশ এসে সেই গোডাউন সিল করে দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং এলাকারই বাসিন্দা বাপ্পা রায় নামক চাল ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়।
সুত্রের খবর অনুযায়ী, ঠিক এরই মধ্যে ৭নং ওয়ার্ডের তৃণমূল যুব কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি দেবায়ণ চন্দ সোশ্যাল মিডিয়াতে ফেসবুক লাইভ করে জানান যে, এই বস্তাগুলির ভিতরে নাকি রেশনের চাল নয় বরং বাসমতী, দেরাদুন, মিনিকেট এই সমস্ত চাল রাখা ছিল। শুধুমাত্র তৃণমূলকে বদনাম করতেই এই মহা সংকট এর সময়েও বিরোধীরা মিথ্যা কুৎসা রটাচ্ছে। কিন্তু এলাকাবাসীর উত্তেজনা যেন অন্য কথাই বলছে! আর এই লাইভের পরে এলাকায় আরও বেশি করে উত্তেজনা ছড়ায়। নিচে সেই ফেসবুক লাইভের লিংকটি দেওয়া হলো — https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1542920705871212&id=100004598916910
সম্প্রতি বসিরহাটেও এই একই ঘটনায় এলাকার মানুষ উত্তেজিত হয়ে আইন নিজের হাতে তুলে নিয়েছিল। বর্তমানে সারা রাজ্যে জুড়েই রেশন নিয়ে মানুষের মধ্যে এক বিশাল ক্ষোভ তৈরি হচ্ছিলো, আর তার মধ্যেই মধ্যমগ্রামে সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটায় বিক্ষোভে এক নতুন মাত্রা যোগ করল।
অন্যদিকে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে প্রাক্তন কাউন্সিলর তথা সিপিআইএম নেতা ভাস্কর নায়েক বললেন, এই ওয়ার্ডে রেশনের চাল চুরির মত এমন ঘৃণ্য কাজ এই প্রথম হলো। এর আগে এমনটা কখনোই হয়নি। এমন দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতিতে এমন অমানবিক ঘটনা সত্যিই নিন্দনীয়। আমরা পুলিশ প্রশাসনকে খবর দিয়েছি, তারাই এসে সিধান্ত নেবেন কি করণীয়। আর এলাকার মানুষকে বলব, আপনারা উত্তেজিত হবেন না, শান্ত থাকুন। প্রশাসনকে সাহায্য করুন যাতে তারা এর বিহিত করতে পারে জনগণের জন্য।