আগামী বইমেলায় দুই আত্মকথন

HnExpress সম্রাট গুপ্ত, ২৬ জানুয়ারি, কলকাতা : শুরু হয়ে গেছে বইমেলার প্রহর গোনা। বেশ কিছু ভাল বই প্রকাশিত হবে এবছরের মেলায়। এখন চলছে সেগুলির শেষ পর্যায়ের কাজে। কিছু বই সেজেগুজে তৈরি। এর মধ্যে রয়েছে দুই সাংবাদিকের তিন খানি উল্লেখযোগ্য বই।
স্মরণীয় একটি বই কলকাতার এক নামী দৈনিকের সাংবাদিক, আপাতত অনাবাসী শুভঙ্কর মুখার্জির ‘মিলেমিশে’। তাঁর নিজের কথায়, “আমাদের জীবনে কখনো সখনো ‘মিলেমিশে’ এক হয়ে যায় স্বপ্ন আর স্মৃতি। দুই মলাটে আটকে থাকা বইয়ের মতো আমাদের এই সংসারে কত শত সম্পর্ক যে নিয়ত উঁকি মারে, অবিরাম ঘটে চলে কত যে ছোটগল্প। এই সব নিয়েই লেখা আমার নতুন বই ‘মিলেমিশে’, প্রকাশ করেছেন কলকাতার শীর্ষস্থানীয় প্রকাশক এম সি সরকার অ্যান্ড সন্স।“
হাত বাড়ালেই বইটি পাওয়া যাবে কলকাতার আন্তর্জাতিক বইমেলায়। এটা শুভঙ্করের ষষ্ঠ বই। স্মৃতিচারণার ঘরানায় এই বইয়ে তিনি লিখেছেন তাঁর স্কুলজীবন, কলেজ, হস্টেল, বিশ্ববিদ্যালয় আর মেসবাড়ির দিনগুলির কথা। লিখেছেন তাঁর বন্ধুবান্ধবীদের কথা, কলকাতার কথা, যেখানে ‘মিলেমিশে’ বসবাস করে প্রেম আর প্রতিবাদ, মিছিল আর কবিতা। এই বইয়েই তিনি লিখেছেন পশ্চিমের পরবাসে বসে পূর্বের পরিযানের কথাও। লিখেছেন তাদের জন্য, যাদের সাথে মিলেমিশে ‘ভোরেরবেলায় ফুল তুলেছি, দুলেছি দোলায়’। তাঁর কথায়, “আকাঙ্ক্ষা রইল, যাদের নিয়ে লিখলাম এই বই, তাদের করপুটে স্মৃতির কুসুম হয়ে থাক আমার ‘মিলেমিশে’।“
কবি, লেখক রতনতনু ঘাটির বয়স এখন ৬৫। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলায় স্নাতোকত্তর। আজীবন কাজ করেছেন আনন্দবাজার পত্রিকাগোষ্ঠীতে। বিভিন্ন সময়ে লিখেছেন ৫০-টির ওপর বই। পুরস্কার পেয়েছেন অনেক। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য পশ্চিমবঙ্গ সরকারের দেওয়া উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী পুরস্কার।
এবার পারুল প্রকাশনী থেকে বার হচ্ছে তাঁর ‘২৫টি সেরা রূপকথা’। অক্ষর প্রকাশনী থেকে ‘অনেক গল্প অনেক প্রেম’। বড়দের গল্প-উপন্যাস-কবিতার পাশাপাশি ছোটদের জন্য রতনতনু বিস্তর লিখেছেন। তাঁর এই দুই বই পাঠকদের কাছে সমাদৃত হবে বলে আশা।
ছোটনাগপুরের মালভূমি, তার আঁকাবাঁকা ঢেউ খেলানো সারি যেখানে ছুঁয়েছে বাংলার কোল, সেখানে শাল-মহুয়ার হাতছানি, মাদলে দ্রিমিদ্রিমি শব্দ। শান্তির নীড় জঙ্গল মহল। কলেজের ছাত্রদের হাতে-কলমে শেখাতে গিয়ে এই জঙ্গলমহলের প্রকৃতি আর তার বাসিন্দা আদিবাসী সাঁওতাল-লোধা আর কুর্মিদের আকর্ষণে বাঁধা পড়ে গেলেন অর্থনীতির এক অধ্যাপক। বন্ধুত্বের বাঁধনে তাঁকে বেঁধে ফেলল স্থানীয় বাসিন্দা গোপীনাথ মাহাত। তারপর তাকে নিয়ে চলল একের পর এক অভিযান।