আইনজীবীদের হাতে নিগৃহীত সাংবাদিকদের সুবিচারের দাবীতে বারাসাতে প্রতিবাদ মিছিল
HnExpress ইন্দ্রানী সেনগুপ্ত, বারাসাত ঃ গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ নাকি মিডিয়া বা গণমাধ্যম? তবে কেন সত্যপ্রকাশ ও সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে বারংবার আক্রান্ত হচ্ছেন, খুন হচ্ছেন, জখম হচ্ছেন গণমাধ্যমের সঙ্গে যুক্ত সাংবাদিক, চিত্র সাংবাদিক থেকে খোদ সম্পাদক বা হাউস ওনাররা পর্যন্ত? বর্তমান যুগে জেলায় জেলায় চলছে সাংবাদিকদের উপর নিগ্রহ, দেশ জুড়েও দেখা যাচ্ছে একই পরিস্থিতি। আর এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার থেকে ব্যাতিক্রমী নয়, আমাদের উত্তর ২৪ পরগনা জেলাও। অতীতেও বারংবার এই আক্রমণ নেমে এসেছে খবর সংগ্রহ করতে আসা সংবাদ মাধ্যমের কর্মীদের উপরে, আর আজও তা অব্যাহত।
সম্প্রতি, জেলার সদর শহর বারাসাত থানার সামনেও সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে রাজ্যের শাসকদলের অতি উৎসাহী কর্মী-সমর্থকদের হাতে আক্রান্ত হতে হয়ে ছিল বিভিন্ন গণমাধ্যম এর সাংবাদিক ও চিত্র সাংবাদিকদের। অথচ প্রশাসন, সরকার পক্ষ নির্বিকার, যেন দেখেও দেখছে না। যাদের সমাজের চতুর্থ স্তম্ভ বলে তাদের দিনের পর দিন নিগৃহীত হতে দেখেও নিরব দর্শকের ভুমিকা পালন করে চলেছে পুলিশ প্রশাসন।
এদিকে সেই রেশ কাটতে না কাটতেই এবারে বারাকপুর আদালত চত্বরে ভুয়ো আইনজীবীর কীর্তি ফাঁস করতে যাওয়ায় সেই আইনেরই পোশাকপরা মাফিয়া ডন রাজু সাউ, সিকান্দার আনসারি ওরফে সোনু, সোমনাথ গাঙ্গুলী, তিতলি সরকার সহ কতিপয় দুর্বৃত্তদের হাতে চরম নিগৃহীত ও রক্তাক্ত হলেন, বারাসাত প্রেসক্লাবের সদস্য এবং আদর্শ তিতুমীর পত্রিকা ও সংবাদ তিতুমীর-এর সম্পাদক ধৃতরাষ্ট্র দত্ত সহ আরও দু’জন সাংবাদিক।
যেকোনো রকমের খবর ও বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন।
আর এই ন্যাক্সক্কারজনক ঘটনার প্রতিবাদেই আজ ১৭ই জুলাই বারাসাত প্রেস ক্লাবের উদ্যোগে সকাল ১১টায় বিধান সিনেমা হল প্রাঙ্গণ থেকে এক সুবিশাল প্রতিবাদ মিছিল ও দোষীদের অবিলম্বে গ্রেফতার এবং দৃষ্টান্তমূলক ও কঠোর থেকে কঠোরতম শাস্তির দাবিতে জেলা প্রশাসনের কাছে স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়।
এদিন সংগঠনের পক্ষ থেকে এই প্রতিবাদ মিছিলে উপস্থিত ছিলেন সমাজের বিদ্বজনেদের পাশাপাশি জেলার সাপ্তাহিক, মাসিক বা পাক্ষিক প্রিন্ট মিডিয়া, ওয়েব পোর্টাল এবং কিছু ডেইলি পেপার এর সকল সাংবাদিক, চিত্র সাংবাদিক, সম্পাদক সহযোদ্ধারা। আজ এই প্রতিবাদ মিছিল থেকে এক জোরালো আওয়াজ উঠেছে, জেলার সর্বত্র সব মিডিয়া হাউসের সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা ও নিরাপত্তা চাই, এমনই দাবীতে।
হ্যাঁ সময় হয়েছে এবার, সকল সাংবাদিক সহযোদ্ধা বা বন্ধুদের এক জোট হয়ে একে অপরের নিরাপত্তার দাবীতে ও স্বাধীন ভাবে কাজের স্বার্থে এগিয়ে আসতে হবে এবং সাথে প্রতিনিয়ত খবর সংগ্রহ করতে যাওয়া কালিন সময় সাংবাদিক নিগ্রহের বিরুদ্ধে তীব্র ধিক্কার জানিয়ে এক সুদৃঢ় প্রতিবাদ মঞ্চ গড়ে তুলতে হবে।
আর এজন্য সবার আগে দরকার আমাদের নিজেদের মধ্যে ঐক্যবদ্ধ মনোভাব তৈরি করা এবং একে অপরের হাত ধরে একে অপরের পাশে থাকা। যার দৃষ্টান্ত স্বরুপ পদক্ষেপ আজ বারাসাত প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে নেওয়া শুরু হয়ে গেল। “আর নয়, অনেক হয়েছে সাংবাদিক নিগ্রহ, সমাজের সেবা করতে গিয়ে মোরা অনেক খেয়েছি মার। এবার উঠুক আওয়াজ, একটাও সাংবাদিক নিগ্রহ হলে, বিক্ষোভ প্রতিবাদ হবে বার বার।”