মাস্ক পরিধান করে, সমস্ত রকম প্রোটেকশন সহ সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখেই প্রতিবাদ মিছিলে সামিল হলো জাতীয় প্রদেশ কংগ্রেস

0

HnExpress ৯ই অগাস্ট, জয় গুহ, কলকাতা ঃ অনেক দিন গৃহবন্দি থেকে মুখে মাক্স পরে, সমস্ত রকম প্রোটেক্সান নিয়ে, সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে জাতীয় কংগ্রেসের প্রতিবাদ মিছিলে সামিল হলেন অনেকে। ফলত, লোকসভার কংগ্রেস দলনেতা, আপোষহীন, সংগ্রামী লড়াকু নেতা অধীর চৌধুরীর নির্দেশে একসময়ের বৃটিশ সাম্রাজ্যবাদের দালাল অধুনা ভারতের মসনদে অধিষ্ঠান বিজেপির জন বিরোধী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে গর্জে উঠে তাঁরা।

বর্তমানে দেশ অর্থনৈতিক সুনামীর দিকে চলেছে, জিডিপি গ্রোথ নিম্নগামী, রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্প গুলি বেসরকারী করন করা হচ্ছে দ্রুতগামী ভাবে, ব্যাঙ্ক, বীমা সহ কয়লাও বেসরকারীর পথে, বেকারত্বে হার আকাঁশ ছোঁয়া, দ্রব্য মূল্য বৃদ্ধি মানুষের নাগালের বাইরে। মানুষের হাতে টাকা নেই। এই অবস্তায় জাতীয় কংগ্রেস কর্মীরা যদি প্রতিবাদ না করে তাহলে মানুষ তাদের ক্ষমা করবে না, এটাই ছিল তাদের বক্তব্য।

আজ বেলা ১২টায়, হাজরা মোড়ে জমায়েত হয়ে পায়ে পা মিলিয়ে ইন্দিরা গান্ধী আবক্ষ মূর্তির সামনে গিয়ে সভা করেন কংগ্রেস, জনবিরোধী প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রদর্শন করার জন্য প্রতিবাদে গর্জে ওঠেন তাঁরা। মুলত আজ ৯ই আগস্ট, রবিবারের দিনটি ছিল বৃটিশের বিরুদ্ধে গড়ে ওটা সেই ঐতিহাসিক ভারত ছাড়ো আন্দোলনের বর্ষপূর্তি। এই দিনটি স্মরনীয় করতে দক্ষিণ কলকাতা জেলা কংগ্রেস কর্মী সমর্থকরা বেলা ১২টায় হাজরা মোড় থেকে ইন্দিরা গান্ধীর মূর্তি পর্যন্ত একটি বর্ণাঢ্য মিছিল সংগঠিত করে।

তাদের মূল বক্তব্য ছিল, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশ বিক্রী করার পরিকল্পনা করছেন। অথচ অতীতে রক্তক্ষয়ী আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে স্বাধীনতা অর্জনের পর, দেশের মানুষের স্বপ্ন পূরনের লক্ষে কষ্টার্জিত এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা করে কংগ্রেস সরকারের নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী জহরলাল নেহেরু যে সমস্ত রাষ্টায়ত্ত শিল্প স্হাপন করেছিলেন, এবং পরবর্তী প্রধানমন্ত্রীরা সেগুলো এগিয়ে নিয়ে আরও বড় আকারে পরিনত করে বাস্তবায়িত করেছিলেন, আজ সেই সমস্ত প্রতিষ্ঠান গুলো মোদিজী বিক্রী করতে উদ্ধত হয়েছেন।

তাঁরা এদিন আরও বলেন যে, পূর্বতন প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধী নিজ দায়িত্বে ব্যাঙ্ক এবং কয়লা খনিগুলিকে রাষ্ট্রায়ত্তকরন করেছিলেন। কিন্তু মোদিজী আজ সেই সব প্রতিষ্ঠান গুলোকে বেসরকারীকরন করে চলেছেন। ফলে তাঁর এই জনবিরোধী সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে “মোদিজী ভারত বিক্রী বন্ধ করো” ব্যানার নিয়ে কংগ্রেসের প্রতিবাদী মিছিল পালন করে। এদিন মিছিলে নেতৃত্ব দেন প্রদেশ কংগ্রেস সদস্য জাহীদ হোসেন, সুবীর চৌধুরী, এ.আই.সি.সি সদস্য পলাশ ভান্ডারী, মনোরঞ্জন হালদার, রানা রায় চৌধুরী প্রমুখ।

FacebookTwitterShare

Leave a Reply Cancel reply