ভারী বৃষ্টিপাতের সতর্কতা রাজ্যের উত্তরবঙ্গ সহ একাধিক জেলায়
HnExpress অরুণ কুমার, ওয়েদার রিপোর্ট ঃ আবার ভারী বর্ষণের সর্তকতা জারি করল আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। গত কয়েকদিন ধরে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় সকাল থেকে আকাশ থাকবে মেঘলা। সকালেই দক্ষিণবঙ্গের কোনও কোনও জায়গায় খুব সামান্য বৃষ্টিপাত হয়েছে। সঙ্গে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তিও বজায় রয়েছে। তবে আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী এদিন উত্তরবঙ্গের দু-একটি জেলায় অতিভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
শনিবার বিকেলে দেওয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, পরবর্তী ২৪ ঘন্টা অর্থাত্ ১ অগাস্ট রবিবার সকালের মধ্যেই দার্জিলিং, কালিম্পংয়ে বজ্রবিদ্যুত্-সহ অতিভারী বৃষ্টি হতে পারে। আর এছাড়া জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহারের কোথাও কোথাও ভারী বৃষ্টি হতে পারে। বাকি জেলাগুলির কোনও না কোনও জায়গায় বজ্রবিদ্যুত্-সহ হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে।
তার পরবর্তী ২৪ ঘন্টা অর্থাত্ ২রা অগাস্ট সোমবার সকালের মধ্যে হিমালয়ের পাদদেশ সংলগ্ন পাঁচ জেলা দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহারে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। বাকি তিন জেলায় হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। আগামী ২৪ ঘন্টায় দিনের তাপমাত্রার সেরকম কোনও পরিবর্তন না হলেও পরবর্তী ৩-৪ দিনে তাপমাত্রা ২-৩ ডিগ্রি পর্যন্ত বাড়তে পারে।
শনিবার সকালে দেওয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আগামী ৪৮ ঘন্টায় অর্থাত্ ২রা অগাস্ট সোমবার সকালের মধ্যে দক্ষিণবঙ্গের কোথাও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস না থাকলেও, সব জেলারও কোথাও না কোথাও বজ্রবিদ্যুত্-সহ হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। আগামী দুদিন দিনের তাপমাত্রার সেরকম কোনও পরিবর্তন না হলেও, পরবর্তী তিন দিনে তাপমাত্রা ২-৩ ডিগ্রি পর্যন্ত বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে।
আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর এর মতে, এই বৃষ্টি
কতদিন ধরে চলবে তা এখনও বলা সম্ভব নয়। আগস্ট মাস জুড়েজ যে বৃষ্টি চলার সম্ভাবনা তা বলা যায়। তবে সেই বৃষ্টির বেশিরভাগটাই হবে নিম্নচাপের জেরে। এই বৃষ্টি অক্টোবরের ১০ থেকে ১২ তারিখ পর্যন্তও চলতে পারে। কেননা সাধারণ ভাবে রাজ্য থেকে বর্ষা বিদায় নেয় ওই সময়ে। রাজ্যে নতুন করে মৌসুমী বায়ু প্রবেশ না করলেও, বঙ্গোপসাগের নিম্নচাপ মৌসুমী বায়ুকে টেনে নিয়ে আসছে।
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, বর্তমানে এই নিম্নচাপ এবং ঘূর্ণাবর্ত গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ এবং ঝাড়খণ্ডের ওপরে অবস্থান করছে। যা ক্রমশ পশ্চিম এবং উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে দক্ষিণ বিহার এবং দক্ষিণ উত্তর প্রদেশে যেতে চলেছে। অন্যদিকে, একটি মৌসুমী অক্ষরেখা রাজস্থানের গঙ্গানগর এলাকা থেকে শুরু হয়ে উত্তরপ্রদেশ ও গয়া হয়ে এই নিম্নচাপ কেন্দ্রের মধ্যে দিয়ে বিস্তৃত রয়েছে।