সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হলো এবার এক “অস্বাস্থ্যকর ফাঁদ”

0

HnExpress ইন্দ্রানী সেনগুপ্ত, কলকাতা ঃ দিন দিন এতটাই আত্মকেন্দ্রিক ও স্বার্থপর হয়ে উঠেছে যে মানুষের মূল ধর্ম মানবিকতা টাই হারিয়ে ফেলছে। এমনই এক অমানবিক ঘটনা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ২নং গেটের ঠিক উল্টো দিকে এই ভাতের দোকানের সামনে ঘটেছে। যা রীতিমতো সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হয়েছে “অস্বাস্থ্যকর ফাঁদ” নাম দিয়ে। হাসপাতালের অনেক লোক এই দোকানেই দিন প্রতিদিন খেতে আসেন কিংবা পথ চলতি বহু মানুষেরাও এই দোকানে খেয়ে থাকেন।

গত ১৬ই জুলাই কলকাতার কিছু কিছু অংশে বৃষ্টি হয়। আর ভাইরাল হওয়া ছবি ও ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে এবং প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ান অনুযায়ী, বৃষ্টি হওয়ার পর বেলা ৩টে নাগাদ এই হোটেলের ব্যক্তি ওই বৃষ্টির জমা জলেই থালাবাসন ধুতে থাকে আর সেই থালাতেই আবার খেতে দিচ্ছেন সবাইকে। এই জলেই সবাই থুতু ফেলছে, পা ধুচ্ছে, না জানি আরও কত কি নোংরা ফেলছেন বা কত মারাত্মক ভাইরাস তাতে ভেসে বেড়াচ্ছে, তবুও এত কিছুর পরেও অমানবিকতার সাথে অবাধে চলছে এই জলেই থালা ধোয়ার কাজ।

প্রত্যক্ষদর্শীর কথা অনুযায়ী, তাকে এই নিয়ে বারণ করা হলেও সে সেই অপরাধজনক কাজটি বন্ধ তো করলই না, বরং এমনভাবে তাকাল যা দেখে মনে হল সে এমন কিছু অন্যায় করেইনি। উল্টে রাস্তার ওপার থেকে মিট্ মিট্ করে হাসতে লাগল। আর এরপরই ভিডিও ও ছবি সহ পোস্টটি দ্রুত সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল করা হয়। সবচেয়ে মজার কথা হলো, দোকানে খেতে আসা ভদ্রবেশী সভ্য মানুষ বা খদ্দেরগুলি বিষয় টা দেখা এবং প্রতিবাদ এর কারণ টা শুনেও নির্বিকার, ভাবলেশহীন। অনেক আলজিভ ছাড়া বোবার মত।

যেকোনো রকমের খবর ও বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন।

তাই যাতে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে পুলিশ প্রশাসনও এই বিষয় তৎপর হয়, সতর্ক হয় এবং অবিলম্বে দোষীদের শাস্তি হিসেবে ওই হোটেলটিকে বন্ধ করে দেওয়া হয়। তবে এই ঘটনা যে শুধু এখানেই ঘটছে তা নয়, রাস্তা বা ফুটপাতের হোটেল, খাওয়ার দোকান গুলি প্রায় বেশিরভাগই নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর হয়। আর এরকম অন্যায় অবিচার দেখলেই হতে হবে প্রতিবাদী। রুখে দাঁড়াতে হবে অন্যায়ের বিরুদ্ধে।

তাই সোশ্যাল এ্যাওয়ার্নেস হিসেবে এটা নিয়ে জনগণকেই সোচ্চার হতে হবে এবং এই বিষয়ে নিজেদেরকেও যথেষ্ট সতর্ক থাকতে হবে। যেসব জায়গায় মানব জীবনের স্বাস্থ্য নিয়ে এরকম নোংরা খেলা চলছে, সেগুলি অবিলম্বে বন্ধ করা দরকার। তাই নিজেদের স্বার্থে যতখানি সম্ভব ভাইরাল করে পাশের ও দূরের ব্যক্তিকে সজাগ করার পাশাপাশি এহেন অন্যায়, অমানবিক আচরণ এর জন্য প্রতিবাদী আওয়াজ তুলতে হবে।

প্রসঙ্গত, এই দোকানের ঠিক উল্টোদিকেই রয়েছে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল। ফলতঃ বহু রুগির পরিবার এবং রুগির জন্যেও খাবার হয়ে তো এখন থেকেই নেওয়া হয়! যদি রোগ জীবাণুকে শরীরে বাসা বাঁধতেই দিতে হয়, তবে সমাজের কাছে প্রশ্ন রইল —হত দরিদ্র হোক বা মধ্যবিত্ত, পয়সা খরচ করে হাসপাতালে এসে চিকিৎসার আর কি সত্যিই কোনো প্রয়োজন আছে? আর কবে সমাজের অন্ধকার দিক গুলির চোখ ফুটবে? পেটের দায়ে খেটে খাওয়া মানুষও যে এতটা নিচে নামতে পারে ভাবতেও খুব অবাক লাগে।

ছবি ও তথ্যসূত্র ঃ সোস্যাল মিডিয়া।

FacebookTwitterShare

Leave a Reply Cancel reply