January 23, 2025

গৌতম হালদার পরিচালিত প্রথম ছবির স্মৃতি চারণায় আত্মমগ্ন বিদ্যা বালান

0
Advertisements

HnExpress নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা : গতকাল কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের তৃতীয় দিনে শিশির মঞ্চ ও নন্দনে দর্শক ও সাংবাদিকদের সামনে স্মৃতিচারণ করে আত্মমগ্ন হয়ে উঠেছিলেন অভিনেত্রী বিদ্যা বালন (Vidya Balan)। কথা বললেন পরিস্কার বাংলায়, কলকাতার প্রতি আবেগে উচ্ছ্বসিত হলেন তিনি। এদিন গুনগুন করে বাংলা গানও শোনা গেল তাঁর গলায়। 

পরিচালক ও নাট্য ব্যক্তিত্ব গৌতম হালদারের (Goutam Halder) স্মৃতিতে এ বছর শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করছে উৎসব কর্তৃপক্ষ। আর সেই উপলক্ষেই বিদ্যা এলেন উৎসব প্রাঙ্গণে, পরনে গৌতমের দেওয়া সোনালী পাড়ের লাল-কালো শাড়ি, যা তিনি পরেছিলেন ‘ভালো থেকো’র প্রিমিয়র শো’তে। বললেন, “গৌতমদা আর চৈতীবৌদি আমাকে এই শাড়ি উপহার দিয়েছিলেন, তাই ভাবলাম আজ এটাই পরে যাই।”

দু’দশক আগে এক ডিসেম্বরে গৌতমের পরিচালিত ছবি ‘ভালো থেকো’ দিয়ে অভিনয় জীবনের সূচনা হয়েছিল বিদ্যার। সেই স্মৃতিচারণেই তিনি সারাটা দিন জুড়ে বিভোর হয়ে রইলেন। দিনের প্রথম অনুষ্ঠানটা ছিল কলকাতার শিশির মঞ্চে। সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন পরিচালক সঙ্গীতা দত্ত (Sangita Dutta)। স্মৃতিচারণে উঠে আসে সপ্রতিভ বিদ্যা বললেন নানান অভিজ্ঞতার কথা, নানান সুমধুর স্মৃতি। পরবর্তী অনুষ্ঠান মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের সঙ্গে আড্ডার মেজাজেই দিলেন।

জানালেন, গৌতমের ছবিতে প্রথম সুযোগ পেলেও বিদ্যা তাঁর জীবনে প্রথম যে বাঙালি পরিচালকের সংস্পর্শে আসেন তিনি হলেন প্রদীপ সরকার (Pradeep Sarkar)। প্রদীপের পরিচালনায় একটি বিজ্ঞাপনী শুট করতে সে সময় কলকাতায় এসে ছিলেন বিদ্যা। সেই সেটে ছিলেন প্রোডাকশন ম্যানেজার দীনেশ রাউত। গৌতমের কাছে তিনিই বিদ্যার নাম প্রস্তাব করেন। গৌতমই প্রথম যিনি বিদ্যাকে সম্পূর্ণ বাঙালি উচ্চারণে বিদ্যা বলে সম্বোধন করেছিলেন, হিন্দির মতো ‘ভিদ্যা’ বলে নয়।

সেই সময়ের কথা বলতে বসে স্মৃতির রোমন্থনে চলে গেছিলেন অভিনেত্রী। তাঁর উচ্ছ্বাস, স্বতঃস্ফূর্ত আবেগ দেখে মনে হচ্ছিল যেন সদ্য মুক্তি পাওয়া কোনও ছবির গল্প বলছেন তিনি। যেমন কথা বললেন ‘ভুলভুলাইয়া ৩’ নিয়ে, তেমনই বললেন ‘পরিণীতা’ এবং ‘কহানি’র কথাও। নিজেকে প্রবাসী বাঙালি বলতেই ভালোবাসেন বিদ্যা। যদিও পরিচালক সুজয় ঘোষ (Sujay Ghosh) এই নিয়ে হামেশাই তাঁর সঙ্গে খুনসুটি করেন যে বিদ্যা আদৌ প্রবাসীর মানেই বোঝেন কিনা কে জানে। তবু নিজেকে নিয়ে তাঁর যুক্তি, “সেই প্রথম ছবি থেকে কলকাতার সঙ্গে, বাংলার সঙ্গে আমার যোগাযোগ, তারপর কত ছবিতে যে আমি বাঙালি মেয়ের চরিত্র করেছি, একে আর কী বলব বলুন?

বাংলার সঙ্গে আমি কীভাবে জড়িয়ে গেছি নিজেও জানি না। গৌতমদা ‘ভালো থেকো’র চিত্রনাট্য আমাকে শুনিয়ে ছিলেন পুরো বাংলায় (Bengal)। তখন আমি দক্ষিণ থেকে আসা এক নতুন অভিনেত্রী, বাংলার কিছুই জানি না, বুঝিও না। তবু অদ্ভুত ভাবে বুঝেছিলাম সবটা। কিছু শব্দ যেগুলো বুঝতে পারিনি জিজ্ঞাসা করেছিলাম। কিন্তু বাংলায় বলা চিত্রনাট্য বুঝতে একটুও সমস্যা হয়নি সেদিনও। তারপর তো অজস্র ছবিতে কলকাতা কানেকশন এল। এও এক আশ্চর্য ব্যাপার।”

Advertisements

Leave a Reply