ঋণ পরিশোধে ব্যার্থ বাবা ৪০ বছরের এক ব্যাক্তির হাতে তুলে দিল নাবালিকা কন্যাকে
HnExpress ওয়েবডেক্স নিউজ ঃ বাবা ঋন নিয়ে পরিশোধ করতে পারেনি। অবশেষে নিজের ১৪ বছরের নাবালিকা মেয়েকে তুলে দিলেন ৪০ বছর বয়সী এক ব্যাক্তির হাতে। ওই ব্যাক্তি নাবালিকা মেয়েকে বিয়ে করে তিন মাস আগে। একাধিকবার সহবাস করেন তার সাথে। অবশেষে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হলেন সেই অভিযুক্ত ব্যাক্তি।
ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের সিওয়ান জেলার মৈরওয়া শহরে। অভিযুক্ত ব্যাক্তির নাম মহেন্দ্র পাণ্ডে। তাঁর বিরুদ্ধে ১৪ বছর বয়সি কিশোরী মেয়েকে জোর করে বিয়ে করার অভিযোগ উঠেছে। কিশোরীর পরিবার মহেন্দ্রের কাছ থেকে কিছু বিশেষ প্রয়োজনে প্রায় ২ লক্ষ টাকা ধরা নিয়েছিল।
পুলিশ জানিয়েছে, নির্দিষ্ট সময় এই ঋণ শোধ করতে পারেননি তারা। এর পরই অভিযুক্ত জানান, সেই অর্থের পরিবর্তে কিশোরীকে তাঁর বাড়িতে থাকার জন্য পাঠিয়ে দিতে হবে। তাঁর পড়াশোনার যা কিছু খরচ তা বহন করার আশ্বাসও দেন তিনি।
পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, ব্যাক্তিটি আগেই বিবাহিত। অভিযোগ, তা সত্ত্বেও কিশোরীকে নিজের বাড়িতে রেখে গোপনে বিয়ে করেন তিনি। যুবকের দ্বিতীয় স্ত্রী হিসাবেই ওই বাড়িতে দিনের পর দিন ধরে থাকছে ১৪ বছরের নাবালিকা। সে স্থানীয় একটি স্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী। বিয়ের কথা কিশোরীর পরিবারকে জানানো হয়নি বলে অভিযোগ।
পরে এসব কথা জানাজানি হলে কিশোরীর মা পুলিশের দ্বারস্থ হন। যুবকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই পুলিশ যুবককে আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদের সময় বিয়ের কথা অভিযুক্ত স্বীকার করে নিয়েছেন বলে দাবি পুলিশের। যুবকের বিরুদ্ধে বাল্যবিবাহ আইন এবং পকসো আইনে মামলা রুজু করেছে পুলিশ।
