তৃণমূল ধসে একের পর এক পদত্যাগ, কিন্তু কেন?

HnExpress ১৮ই ডিসেম্বর, সুমন্ত দাস কলকাতা ঃ তৃণমূল ধসে একের পর এক পদত্যাগ, কিন্তু কেন? প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, তৃণমূল কংগ্রেস মমতা ব্যানার্জীর হাতে তৈরী তারই স্বপ্নের একটি রাজনৈতিক দল। তবে তৃণমূলকে শুধু দলই মনে করেন না সুপ্রিমো, তাঁর কাছে এই দল একটা পরিবারও বটে। অনেক সংগ্রাম করে তবেই ২০১১ সালে বাংলার মসনদ দখল করেন মমতা ব্যানার্জী। মসনদে তাঁর ক্ষমতায় আসার পিছনে বিগত দিনের সিঙ্গুর, নন্দীগ্রাম আন্দোলন একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ছিল, তা কিন্তু বলাই বাহুল্য।
সবকিছুই ঠিকঠাক চলছিল, হঠাৎ করেই দলের সেকেন্ড ইন কমাণ্ড সারদাকান্ডে অভিযুক্ত মুকুল রায়ের বিদ্রোহ এবং তাঁর দলত্যাগে দলের ফলে অন্দরে ভাঙনের প্রথম চোরা স্রোত বইয়ে দিল। তারপর থেকে যেন কোনো কিছুই ঠিক চলছে না দলের মধ্যে, এমনটাই দাবি দলীয় নেতা-কর্মী সমর্থকদের। ২০১৯ লোকসভা ভোটে ভরাডুবীর পর থেকে দলের একটা অংশ দলের প্রতিই বিদ্রোহ শুরু করল। তার কারন হিসাবে উঠে আসছে দলের প্রতি বহিরাগত প্রশান্ত কিশোরের ভূমিকাকে কেন্দ্র করে।
রাজনৈতিক মহলের ধারণা, দল এতটা পিকে নির্ভরশীল হয়ে উঠছে যেটা অনেক পুরনো কর্মী, সমর্থকরা মেনে নিতে পারেনি। আর তাই বোধহয় মুকুল বিদায়ের পরে শুভেন্দু, শীলভদ্র, জিতেন্দ্র বা শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জীর মতো পুরনো নেতা-কর্মীরা বিদ্রোহী হয়ে দলত্যাগের পথে পা বাড়িয়ে আছে, এমনটাই মনে করছেন বাংলার রাজনৈতিক ওয়াকিবহাল মহল। এখন প্রশ্ন হল, যারা দলত্যাগ করছেন তাদের একটাই বক্তব্য, যে তাঁরা কাজের সুযোগ পাননি।
- যোগ্য নেতৃত্বই পারে আগামীর সোনার ভারত গড়ে তুলতে ঃ রুদ্ররূপHnexpress অপটপিক, সুমন্ত দাস, কলকাতা ঃ বিশিষ্ট শিক্ষাবীদ তথা গবেষক ডাঃ রুদ্ররূপ গুপ্তের মতে, একমাত্র…
- নন্দীগ্রামে দেওয়াল লিখনে ব্যাস্ত তৃণমূল কর্মীরা, মুখ্যমন্ত্রী যে নিজেই প্রার্থী—HnExpress প্রিয়দর্শী সাধুখাঁ, কলকাতা ঃ ২০২১ এর জানুয়ারী মাসের শেষ সপ্তাহ প্রায় আগত। আর কয়েকটা…
- ঠাকুরনগরের ঠাকুরবাড়িতে মুকুল-কৈলাসHnExpress অরূপ অধিকারী, ঠাকুরনগর ঃ আগামী ৩০শে জানুয়ারি উত্তর ২৪ পরগনা জেলার গাইঘাটা থানার ঠাকুরনগর…
- অশোকনগর কল্যাণগড় পৌরসভা ৮ নম্বর ওয়ার্ডে ফল এবং সব্জি সংরক্ষণের বহুমুখী হিমঘরের শিলান্যাস ও উদ্বোধন হয়েও বন্ধ হয়ে রয়েছে তাHnExpress অরূপ অধিকারী, অশোকনগর ঃ অশোকনগর কল্যাণগড় পৌরসভা ৮ নম্বর ওয়ার্ডে ফল এবং সব্জি সংরক্ষণের…
- গৃহ সম্পর্ক অভিযানে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াতHnExpress অরূপ অধিকারী, গাইঘাটা ঃ আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের মুখেই কেন্দ্রীয় জলসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত…
কিন্তু এই যুক্তিতক্কোকে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব বা রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা মানতে নারাজ। তাদের দলত্যাগীদের প্রতি পাল্টা প্রশ্ন, এতদিন যদি দলে কাজ করার সুযোগই না পান, তবে পদ অলংকৃত করে বসে ছিলেন কেন? আর হঠাৎ ভোটের মুখেই কেনবা বিদ্রোহ ঘোষনা করছেন?এক্ষেত্রে হাই নিউজের অর্ন্তঃতদন্তে উঠে এসেছে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা গেছে দলত্যাগীদের অনেকের নামেই সারদা বা নারদা কেলেঙ্কারির অভিযোগ আছে। তাই হয়তো সেই কেলেঙ্কারি থেকে বাঁচতে বিজেপিতে যোগদান করছেন তাঁরা।

যেকোনো ধরনের ডিজিটাল বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করতে পারেন আমাদের সাথে—
আর এই তথ্য তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব স্বীকার করে নিয়েছেন। আবার অন্যদিকে দলত্যাগীরা দিদির একনায়কতান্ত্রিক শাসনস্বরূপ ভাইপো প্রীতিকে দুষছেন। বিধানসভা ভোটের আগে শুভেন্দু বা জিতেন্দ্র দলত্যাগে দলের কোন ক্ষতি হবে না। যদিও এটা মুখে বললেও তৃণমূল নেতৃত্বরা জানে মেদিনীপুর বা আসানসোলে দলত্যাগীদের ঠিক কতটা প্রভাব। সবশেষে একটাই কথা, আগামী শনিবার শুভেন্দু-জিতেন্দ্র যদি বিজেপিতেই যোগদান করেন, তবে বিজেপি কতটা লাভবান হবে আর তৃণমূল কি হারাবে? সেটার উত্তর খুঁজতে আপনাকে আগামী বিধানসভা ভোট পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবেই!