এবারে স্যানিটাইজার দিয়ে সাংবাদিককে পুড়িয়ে মারার মত ঘৃণ্য অভিযোগ উঠল যোগী রাজ্যে, ধৃত ৩
HnExpress ১লা ডিসেম্বর, প্রিয়দর্শী সাধুখাঁ ঃ অ্যাসিড এর পরে স্যানিটাইজার দিয়ে সাংবাদিককে পুড়িয়ে মারার মত ঘৃণ্য অভিযোগ উঠলো যোগী রাজ্যের এক গ্রামপঞ্চায়েত প্রধান ও তিনজন ব্যাক্তির বিরুদ্ধে। গতকাল সোমবার যোগী রাজ্যের সেই ৩ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে গত সপ্তাহে, উত্তরপ্রদেশের এক গ্রামে। দুই জনের কেউ তাঁরা ৪০ পেরোননি। দুই মৃত ব্যাক্তির নাম রাকেশ সিং (৩৭) ও তাঁর বন্ধু পিন্টু সাহু (৩৪)।
লখনউয়ের একটা সংবাদপত্র ‘রাষ্ট্রীয় স্বরূপে’ লেখালেখি করতেন তাঁরা। শুক্রবার লখনউ থেকে প্রায় ১৬০ কিলোমিটার দূরে বলরামপুরে রাকেশের গ্রামের বাড়ি থেকেই তাঁদের গুরুতর ভাবে দগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ, কিন্তু ততক্ষণে অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে পিন্টু নামের সেই সাংবাদিক ব্যাক্তিটির। অন্যদিকে, গুরুতর আহত অবস্থায় রাকেশকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও, তার কিছুক্ষণ পরেই তাঁরও মৃত্যু হয়।
হাসপাতাল সুত্রের খবর, মৃত্যুর আগে পুলিশকে দেওয়া শেষ জবানবন্দিতে রাকেশ জানিয়েছেন, তিনি নিয়মিত ভাবে গ্রামপঞ্চায়েত প্রধান ও তাঁর ছেলের দুর্নীতির বিরুদ্ধে সংবাদপত্রে লিখতেন তাঁরা। আর এটাই ছিলো তাঁদের সব থেকে বড়ো ভুল। আড়াই মিনিটের ভিডিওতে তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে যে “সত্যিটা প্রকাশ করাই ছিল আমার একটা বড় ভুল, যার জন্য আমায় এত বড়ো মূল্য দিতে হলো”। এর আগেও বহু রাজ্যে নানা ভাবে বারবার সাংবাদিক নিগ্রহ হয়েছে।
গত মাসেই, লখনৌয়ের একটি হিন্দি দৈনিক সংবাদমাধ্যমের সাংবাদিক এবং তাঁর স্ত্রীকে নির্মম ভাবে পিটিয়ে হত্যা করার ঘটনা ঘটেছে। আজ উত্তরপ্রদেশ তো কাল লখনৌয়, কিংবা আগামীকাল বাংলায়, বারংবার অন্যায়ের বিরুদ্ধে গর্জে ওঠা চতুর্থ স্তম্ভের কলম বিপন্ন! কিন্তু সত্যি কী এই ভাবে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে বাক্ স্বাধীনতা হরণ করা যায়?