পূজোতে এবার ‘শারদ সম্মান’ নয়, দেওয়া হবে “কোভিড শারদ সম্মান”

0

HnExpress ১৯শে অক্টোবর, অরুণ কুমার, জলপাইগুড়ি ঃ প্রতি বছর পুজোয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে দেওয়া হয় শারদ সম্মান। সম্মানে ট্রফির পাশাপাশি দেওয়া হয় নগদ পুরষ্কার। তাই কমিটি গুলি একে অপরকে টেক্কা দিতে মেতে ওঠে থিম পূজোর হিড়িকে। কিন্তু এবছর করোনা মোকাবিলায় নিয়ম উল্টে গেছে। তাই পূজোতে এবার ‘শারদ সম্মান’ নয়, দেওয়া হবে “কোভিড শারদ সম্মান।” জাকজমক করে পূজো করলে বেশি নম্বর পাওয়া তো দুরের কথা, উলটে কাটা যেতে পারে নম্বর।

জলপাইগুড়ির পুজো উদ্যোক্তাদের সাথে বৈঠক এর পাশাপাশি একটি সাংবাদিক সম্মেলন করে একথা জানালেন করোনা মোকাবিলা স্তরের উত্তরবঙ্গের অফিসার অন স্পেশাল ডিউটি ডাক্তার সুশান্ত রায়। আজ সোমবার দুপুরে, জলপাইগুড়ি জেলাশাসকের দপ্তরে পুজো উদ্যোক্তাদের ও পুজোতে কোভিড ম্যানেজমেন্ট নিয়ে এক জরুরি বৈঠক সারেন জলপাইগুড়ি জেলা ও স্বাস্থ্য দপ্তরের সমস্ত আধিকারিকেরা।

সেই বৈঠকে পূজো পরিচালনা ও কোভিড-১৯ সংক্রান্ত বিভিন্ন খুটিনাটি বিষয় নিয়ে পূজো উদ্যোক্তাদের সচেতন করা হয়। বৈঠক শেষে সাংবাদিক সম্মেলনে ডাক্তার সুশান্ত রায় বলেন, সরকার থেকে পূজো উদ্যোক্তাদের কিছু আর্থিক অনুদান দেওয়া হয়েছে। সেই টাকা থেকেই তাঁরা যেমন মাস্ক বা স্যানিটাইজার কিনবেন, তেমনিই পাশাপাশি কমিটিগুলি যেন পূজো প্যান্ডেলে একটি করে এক্সামিনেশন টেবিল বসিয়ে, তাতে পালস অক্সিমিটার, অক্সিজেন সিলিন্ডার ইত্যাদি মজুত রাখেন।

কারন পূজো দেখতে আসা দর্শনার্থীদের মধ্যে যদি কেউ অপরীক্ষিত কোভিড পজিটিভ থেকে থাকে, তাহলে সেই ক্ষেত্রে যদি তাঁর আচমকাই হাইপোস্কিয়া হয়, তবে সেই রোগীকে তৎক্ষনাৎ আপতকালিন চিকিৎসা হিসেবে পালস অক্সি মিটার দিয়ে তাঁর অক্সিজেন স্যাচুরেশন দেখে তাঁকে অক্সিজেন দিয়ে হাসপাতালে নিয়ে আসুন। তাতে ঐ দর্শনার্থী রোগী প্রানে বেঁচে যাবে। তিনি আরোও বলেন, করোনা মহামারীর কথা মাথায় রাখুন। তাই এবারে পূজো করুন, কিন্তু উৎসব করবেন না।

আর সেই কথা মাথায় রেখেক প্রতিমা আনা বা বিসর্জনের ক্ষেত্রে বিরাট শোভাযাত্রা করা যাবে না। যাঁরা পূজো উদ্যোক্তা রয়েছেন তাঁরাও যেন কোভিড টেস্ট করিয়ে নেন। সেচ্চাসেবক বেশি করে রাখবেন। যাতে ম্যানেজমেন্ট দিতে সুবিধা হয়। এছাড়াও তিনি, মানুষজনকে এবার পাড়ার মধ্যেই থেকে পূজো দেখার বিষয় অনুরোধ করেন। বৈঠকে উত্তম বোস নামে এক পূজো উদ্যোক্তা বলেন, সরকারী গাইড লাইন শুধু আমরাই নয়, নিশ্চয়ই সব পূজো কমিটিই মেনে চলবে।

এখন এটাই দেখার বিষয় যে, আগামী পুজোর দিনগুলিতে এই প্রশাসনিক গাইডলাইন এবং মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশ এর পরিপ্রেক্ষিতে পুজো উদ্যোক্তারা তা ঠিক কিরকম ভাবে মেনে চলেন? বা সেই নিয়ম ও সতর্কতা কতটা মানতে পারেন এই বাংলার সচেতন নাগরিকগণ? আর তা জানতে হলে তার জন্য আমাদের তো একটু অপেক্ষা করতেই হবে!

FacebookTwitterShare

Leave a Reply Cancel reply