চোর পুলিশ! বিলকুল সিনেমার দৃশ্য উঠে এলো ক্যামেরার ফ্রেমে—
HnExpress ওয়েবডেক্স নিউজ, কলকাতা ঃ বিলকুল সিনেমার দৃশ্য উঠে এলো ক্যামেরার ফ্রেমে। আগে আগে তীরবেগে ছুটছে একটি কালো রঙের হন্ডা বাইক, তার পিছনেই আরেকটি বাইক নিয়ে তাড়া করেছেন এক ব্যক্তি, এবং এই দুইয়ের পিছনেই বাইকে চড়েই ধাবমান শ্যামবাজার ট্রাফিক গার্ডের সার্জেন্ট সুরজিৎ পোড়েল। আজ দুপুর দুটো নাগাদ এই অভিনব ‘চেজ সিকুয়েন্স’-এর সাক্ষী থাকল শহর কলকাতা—
বেলগাছিয়া ক্রসিংয়ের কাছে ডিউটিতে ছিলেন সুরজিৎ। হঠাৎ-ই তিনি দেখেন, বেলগাছিয়া ব্রিজ ধরে পশ্চিমমুখো ছুটছে একটা কালো বাইক, এবং তার পিছনে তাড়া করছে অন্য বাইকটি। তাঁর পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় দ্বিতীয় বাইকের আরোহী যেন ইশারায় সাহায্যের আবেদন জানালেন সুরজিতের কাছে। ব্যাপারটা সম্পূর্ণ না বুঝলেও কিছু একটা গোলমাল যে হয়েছে সেটা আন্দাজ করে দ্রুত নিজের বাইকে চড়ে দুজনকে ধাওয়া করলেন ট্রাফিক পুলিশ সুরজিৎ। উদ্দেশ্য, কালো বাইকটিকে থামানো।
কিন্তু থামানো তো অত সহজ নয়, এঁকেবেঁকে অত্যন্ত বিপজ্জনক ভাবে পালাতে চাইছে কালো বাইকের মরিয়া আরোহী। এদিকে সমানে তাড়া করে চলেছেন সুরজিত ও দ্বিতীয় বাইকের আরোহী। অবশেষে কলকাতা স্টেশনের সামনে গজনভি ব্রিজের কাছে এসে তাকে ধরে ফেলেন সুরজিৎ এবং তারপরই স্পষ্ট হয়ে যায় গোটা ঘটনাটি।
পুলিশ সুত্রে জানা যায়, বেলগাছিয়া থেকে এই কালো বাইকটি চুরি করে পালাচ্ছিল এক ব্যক্তি। বাইকের মধ্যে বসানো ‘থেফট ট্র্যাকিং ডিভাইস’ অর্থাৎ চোর ধরার প্রযুক্তির কল্যাণে মেসেজ চলে যায় বাইকের মালিক রোহিত শা-এর কাছে এবং তিনি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। কিন্তু চোর ততক্ষণে চম্পট দিচ্ছে দেখে তাড়া করেন রোহিতবাবুর ভাই এবং সুরজিতের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় সাহায্যের ইশারা করেন। চোর পুলিশ দৌড়ের পর অবশেষে উদ্ধার হওয়া বাইক সমেত চোরটি রয়েছে উল্টোডাঙা থানার জিম্মায়।
তথ্যসূত্র ও চিত্র ঃ কলকাতা পুলিশ ফাইল।