বাংলায় বিগত একশো বছরেও এমন বৃষ্টি হয়নি, ফলে “RED Alert” জারি

0

HnExpress জয় গুহ, ওয়েদার রিপোর্ট ঃ দক্ষিণবঙ্গে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। ২৯শে জুন বৃষ্টি বাড়বে উপকূলের জেলাগুলিতে। বিগত একশো বছরেও এমন বৃষ্টিপাত হয়েনি বলেই জানাচ্ছে হাওয়া দপ্তর। আর ৩০ জুন থেকে ২রা জুলাই দক্ষিণবঙ্গেও ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে দক্ষিণবঙ্গে আজও দিনভর আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি থাকবে বলেই হাওয়া দপ্তর সুত্রের খবর। ওদিকে, আগামিকাল পর্যন্ত উত্তরবঙ্গে চলবে ভারী বর্ষণ। এদিকে অসহ্য প্যাচপ্যাচে গরমে অতিষ্ঠ কলকাতা সহ গোটা দক্ষিণবঙ্গ এর জনজীবন। আর অন্যদিকে বাণভাসি অবস্থা উত্তরবঙ্গে।

আজ মালদহ-সহ দুই দিনাজপুরে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। টানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হতে পারে উত্তরবঙ্গ, এমনটাই দাবি করছেন হাওয়া দপ্তর। তাই বেশ কিছু জেলায় জারি হয়েছে “লাল সতর্কতা।” এখনও পর্যন্ত এই বৃষ্টিপাত গত প্রায় একশো বছরের রেকর্ডকে ছাড়িয়ে গিয়েছে বলে জানা গেছে। আবহাওয়া দফতরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘন্টায় আলিপুর দুয়ারে বৃষ্টির পরিমাণ ছিল ৪০৫.৪ মিলিমিটার। ২০১৭ সালে ১২ অগাস্ট বৃষ্টি হয়েছিল ৩৯০.৪ মিলিমিটার। আর ১৯৯৩ সালে ভয়াবহ বন্যার সময়েও বৃষ্টির পরিমাণ ছিল ৩৭৬ মিলি মিটার।

ইতিমধ্যেই বানভাসি পরিস্থিতি আলিপুরদুয়ারে। ভুটানে প্রবল বৃষ্টিপাতের কারণেই আলিপুর দুয়ারের প্রত্যেকটি নদীতে জলসীমা চূড়ান্ত সংকটসীমা পেরিয়ে গিয়েছে অনেক আগেই। আর এদিকে তিস্তা ও বুড়ি তোর্সা ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করেছে। জেলার ছটি ব্লক বন্যা কবলিত। জেলার একাধিক নদীর বাঁধ ভাঙায় মাদারিহাট ও হলংবস্তি ভেসে গেছে। অনেক বাসিন্দাকে নিরাপদ স্থানে সরানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবারেও উত্তরবঙ্গে পাঁচ জেলার জন্য ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে হাওয়া দপ্তর সুত্রে। সেখানে বলা হয়েছে দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার এবং আলিপুরদুয়ারে ৭ থেকে ২০ সেমি পর্যন্ত বৃষ্টিপাত হতে পারে। কোচবিহার ও আলিপুর দুয়ারের কোনও কোনও জায়গায় অতিরিক্ত বৃষ্টি (২০ সেমিরও বেশি) হতে পারে বলে সতর্ক করেছে আবহাওয়া দফতর। শুক্রবারের জন্যও উত্তরবঙ্গে হিমালয় সংলগ্ন ৫ জেলার জন্য ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছিল হাওয়া অফিস। এখন দক্ষিণবঙ্গে শুধুই অপেক্ষা হাঁসফাঁস গরমের হাত থেকে রেহাই পেতে বর্ষারানীর দর্শন। বর্তমানে ভগবানের দর্শন পাওয়া গেলেও প্রকৃতির রুদ্রমূর্তি থেকে রক্ষা পেতে বর্ষা দেবীর দর্শন পাওয়া দূরহ ব্যাপার।

FacebookTwitterShare

Leave a Reply Cancel reply