গোটা রাজ্য কাটমানি ইস্যুতে উত্তাল, এদিকে টাকা ফেরত নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন অনুব্রত মণ্ডল

0

HnExpress জয় গুহ, বীরভূম ঃ ‘কাটমানি’ উদ্ধার নিয়ে তোলপাড় গোটা রাজ্য। বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভের মধ্যেই বীরভূমের সিউড়িতেও সেই কাটমানির টাকাই ফেরত দিতে বাধ্য হলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা। যদিও বীরভূমের তৃণমূল কংগ্রেস এর দোর্দন্ড প্রতাপ সভাপতি অনুব্রত মন্ডলের কাছে নাকি সেরকম কোনো খবর নেই। এদিকে মঙ্গলবার লোকসভায় কটাক্ষ করে কাটমানির প্রসঙ্গ তুললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সাংসদ দিলীপ ঘোষ। রাজ্যের চারিদিকে এখন কাটমানি ইস্যুুুতেই উত্তাল।

কাটমানি ফেরতের দাবিতে কোচবিহারের তুফানগঞ্জেও তৃণমূল কাউন্সিলরের বাড়িতে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। মঙ্গলবার বীরভুমের সিউড়ী ২ নং ব্লকের কোমা গ্রাম পঞ্চায়েতের চাতড়া গ্রামের গ্রামবাসিদের চাপে পড়ে কাটমানির টাকা ফেরত দিলেন তৃণমুলের বুথ সভাপতি ত্রিলোচন মুখার্জি। এদিন তিনি একশো দিনের কাজের টাকা ফিরিয়ে দেন। মোট ১৪১ জনকে ১,৬১৭ টাকা করে ফিরিয়ে দিয়েছেন।

যেকোনো রকম বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন।

সুত্র থেকে জানা গিয়েছে, ১০০ দিনের কাজ করার পর টাকা আসতো গ্রাহকদেরই নিজস্ব এ্যাকাউন্টে। আর সেই টাকা জোর করে তুলিয়ে নিজের কাছে জমা রেখে ইচ্ছেমতো গ্রাহক বা প্রাপকদের টাকা দিতেন ওই তৃণমূল নেতা। আর তাতে পাওনা টাকার থেকে অনেক কম পেতেন তাঁরা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যের পর কিছুদিন ধরে কাটমানি নিয়ে রাজ্য জুড়ে হৈ চৈ চলছে। সেই মওকায় ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা চেপে ধরেন তৃণমূল নেতা ত্রিলোচন মুখোপাধ্যায়কে।

এই বিষয় নিয়ে তাঁদের দাবি ছিল, ১০০ দিনের কাজের টাকা ফেরত দিতে হবে। এদিন ১০০ দিনের কাজের প্রাপকদের বাড়িতে ডেকে সেই টাকা মিটিয়ে দেন ত্রিলোচন। ড্রেনের জন্য কাজ হয়েছিল ২ লক্ষ ২৮ হাজার টাকার। এ ব্যাপারে বীরভূমে তৃণমূলের প্রতাপশালী জেলা সভাপতি অনুব্রত মন্ডলের প্রতিক্রিয়া, “আমার জানা নেই।” রাজনৈতিক মহলের বক্তব্য, সিউড়িতে বাড়িতে বসে সই-সাবুদ করে টাকা ফেরত দিচ্ছেন স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস নেতা।

এদিকে সেই ঘটনা নাকি জানেনই না অনুব্রত বাবু, তার মানে কাটমানি ইস্যুতে জেলাস্তরে যে সভাপতিদের ওপর যে চাপ যথেষ্ট বাড়ছে, তা এই ঘটনাই প্রমান করছে। এদিকে এদিন কোচবিহারের মাথাভাঙা ও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বুনিয়াদপুরেও কাটমানি ইস্যুতে বিক্ষোভ চলে। বিক্ষোভকারীদের একটাই দাবি, হকের টাকা ফেরত দিতেই হবে। কাটমানি খেয়ে হজম করতে দেব না আমরা।

FacebookTwitterShare

Leave a Reply Cancel reply