এই উপমহাদেশে বড়ো অস্থির সময় উপস্থিত, বলছে গবেষকরা
HnExpress ১৬ই ডিসেম্বর ওয়েবডেক্স নিউজ, রাজ ঘোষাল : বর্তমানে এই উপমহাদেশে বড়ো অস্থির সময় চলছে। পশ্চিমি দুনিয়ার নজর পড়েছে এই উপমহাদেশের (Subcontinent) উপর। যার মধ্যে ভারতের অগ্রগতিকে অনেকেই কুনজরে দেখছে বিশ্বের মধ্যে তাদের চতুর্থ শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশের জন্য। ভারতের শক্ত বিদেশ নীতি এবং অত্যাধুনিক সামরিক অস্ত্রে সুসজ্জিত প্রোটেক্টেড নতুন ভারতকে দেখে বিশ্বের অনেক দেশ চমকে গিয়েছে। ভারতের (India) কূটনীতি বিদেশ নীতি এবং অর্থনীতি মূলত এই তিন থিওরি একসাথে কাজ করা এবং তিনজন মানুষের জন্য ভারত আজ সুপার পাওয়ার হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে বিশ্বের দরবারে।
মূলত এস জয় শংকর, অজিত দোভাল এবং নরেন্দ্র মোদি এই তিনটি মানুষের ইউনিক বুদ্ধিতে ভারতবর্ষকে (India) বাঘ হিসেবে জানতে পারছে বিশ্বের শক্তিগুলো। আর তাই সুপরিকল্পিত ভাবে ভারতের এই উপমহাদেশের চারপাশের প্রতিবেশী দেশগুলোকে অশান্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। প্রথমে পাকিস্তান, সাময়িক ভাবে চীন, শ্রীলংকা তারপরে বাংলাদেশ। এবারে পশ্চিম দুনিয়ার চোখ পড়েছে নেপালের (Nepal) উপরেও। নেপালের যে সরকার দু’মাস আগে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে আগামী বছরের ১৫ তারিখের মধ্যেই সেই নেপাল সরকার ভেঙে ফেলা হতে পারে।
মূলত নেপালের বিভিন্ন দেশের এজেন্সির সাথে হাত মিলিয়েছে চিন (China)। পাকিস্তান বাংলাদেশের পরে এবার নতুন করে অশান্ত হতে পারে নেপাল। মদতে সেই চীনা শক্তির হাত বলে মনে করা হচ্ছে। মায়ানমার তো অনেকদিন আগেই চীনের কাছে মাথা বিক্রি করে দিয়েছে। মলদ্বীপেও চীনের আগ্রাসন বেড়েছে। ভারত (India) এখনো চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সার্ক কান্ট্রি গুলোর মধ্যে সমন্বয় সাধন করার। কারন চিন এটা অনেক আগেই বুঝে গিয়েছে চিনকে বাইপাস করে ভারত যেভাবে আমেরিকা, রাশিয়া, ফ্রান্স, ইউকে, ইসরাইল, ইরান, সৌদি আরব ও আরবিক কান্ট্রি সহ সাউথ আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া, জাপান, তাইওয়ান এর সাথে নিজেদের বন্ধুত্ব অর্থনৈতিক কূটনীতি এবং সামরিক স্তরে দিনকে দিন বৃদ্ধি করেছে।
তাতে মনে করা হচ্ছে তৃতীয় বিশ্বের দেশ হিসেবে এশিয়া মহাদেশে (Asia Continent) চীনের সাথে চোখে চোখ রেখে কথা বলার মত একমাত্র ভারতই। তাই চিনের এবারের মরিয়া প্রয়াস ভারতকে বাগে আনতে গেলে প্রতিবেশী দেশগুলোর সাথে ভারতের সম্পর্ক খারাপ করতে হবে। যাতে করে প্রতিবেশী দেশগুলো ভারতকে বাদ দিয়ে চীনের সাথে সখ্যতা গড়ে তোলে ও চীনের প্রতি তাদের নির্ভরযোগ্যতা নির্ভরতা বাড়ায়। এখন প্রতিবেশী দেশগুলোর সরকারের সম্পর্ক খারাপ হয়ে যাবে ঠিক তখনই ভারতকে চাপে ফেলতে চীনের (China) আগ্রাসন বাড়বে। এতে করে চীন এবং ভারতের মধ্যে সুপার পাওয়ারের লড়াই এর জন্যও অসম যুদ্ধ হলেও হতে পারে।
একদিকে যখন ভারত, আমেরিকা, রাশিয়া, ইসরাইল, ইউকে, ইরান, সৌদি আরবের মত বিশ্বের শক্তিশালী দেশগুলোর সাথে কূটনীতি, অর্থনৈতিক এবং সামরিক ভাবে নিজেদের শক্তিশালী করে সু-সম্পর্ক বজায় রাখছে এতে করে চীনের চক্ষু শূল হয়েছে ভারত। কারণ বিশ্বের বাজারে চীনের যে একটা বিশাল অর্থনৈতিক (Economical) দুনিয়া আছে সেটা ভারতবর্ষের চালে একেবারেই কুপোকাত হয়ে গেছে।
ভারতবর্ষকে আলাদা করার জন্য ভারতের প্রতিবেশী দেশগুলোর সাথে হাত মিলিয়েছে চিন। বলা ভালো ভারতকে ঢাল করে বা হাতিয়ার করে ওয়েস্ট এর সাথে ইস্ট এর লড়াই। আশঙ্কা করা হচ্ছে তার ফলস্বরূপ আগামী ১৫ থেকে এক মাসের মধ্যেই নেপালের (Nepal) যে নবনির্গত সরকার গঠন করা হয়েছিল তা ভেঙে দেওয়া হতে পারে। আর তা যদি সত্যিই হয় তবে এই উপমহাদেশের জিও পলিটিকাল পরিস্থিতি অনেকটাই বদলে যাবে।